মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান) : দুর্গাপুরের (Durgapur) রাস্তায় দুই ডাম্পারের রেষারেষি। যেখানে দুর্ঘটনা (Accident) থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল দুই কিশোরী। আর তার জেরে তৃণমূল (TMC) নেতার নেতৃত্বে বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে ঘণ্টাতিনেক ধরে চলল অবরোধ (Agitation)। পুরসভার টোল ট্যাক্স (Municipality Toll Tax Office) অফিসেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বনফুল সরণি বেহাল থাকায়, প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার রাতে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা এড়ানো গেলেও রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে ধুন্ধুমার বাধে। তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে পথ অবরোধ হয়। কর্মীদের দিয়েই টোল ট্যাক্স অফিসে লাগিয়ে দেওয়া হয় তালা। স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভা ও আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের টানাপোড়েনের জেরেই রাস্তা সারানো হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২টি মেয়ে গাড়ির রেষারেষির সময় একচুলের জন্য প্রাণে বেঁচেছে। এত ভাঙাচোরা রাস্তা দুর্ঘটনা নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি।


তারপর বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের ৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যানের ছেলে ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। রাস্তা সারাই নিয়ে বিজেপির (BJP) পাশাপাশি তাঁর নিশানায় তৃণমূলেরই পরিচালিত পুরসভা ও আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এদিকে, রাস্তা সারাই নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বাম ও বিজেপি শিবির। উল্টোদিকে, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাস্তা সারাইয়ের কাজ প্রায় ৭ কোটি টাকার ব্যাপার। নগরোন্নয়ন দফতর মঞ্জুর করলে রাস্তার কাজ শুরু হবে। পুরসভা টোল নিচ্ছে, ওদের দায় রয়েছে।



টানাপোড়েনের জেরে রাস্তা সারাইয়ের কাজ কবে শুরু হবে তার অপেক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দারা। 


আরও পড়ুন- অ্যানাস্থেটিস্ট কম থাকায় ধুঁকছে পরিষেবা, চরম ভোগান্তি রোগীদের