মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান) : কাকা-ভাইপোর চাঞ্চল্যকর কীর্তি। GST আধিকারিক পরিচয়ে তোলা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ।নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে পালিয়েও শেষরক্ষা হল না। তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগে, পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim burdhman) দুর্গাপুরে (durgapur) কোক ওভেন থানা এলাকার বাসিন্দা কাকা-ভাইপো বাসুদেব পাল ও জগদীশ পালকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)। 


রীতিমতো ছক কষে সিনেমার কায়দায় তোলা আদায়ের ছক। ধোঁকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় নীলবাতি লাগানো গাড়ি। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। কতদিন ধরে অভিযুক্তরা এই কাজ করছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। 


কীভাবে প্রতারণা


কিন্তু কীভাবে করা হত প্রতারণা? কীভাবেই বা জোগাড় হল নীলবাতি লাগানো গাড়ি? পুলিশ সূত্রে দাবি, নীলবাতি লাগানো যে গাড়িটি ব্যবহার করেছে অভিযুক্তরা সেটি GST দফতরে ভাড়ায় খাটানো হত। গাড়িটি চালাতেন বাসুদেব পাল। অভিযোগ, GST আধিকারিককে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বাড়িতে নামিয়ে গাড়িটি নিয়ে দুর্গাপুর স্টেশন রোডে চলে আসেন বাসুদেব। সঙ্গে ছিলেন ভাইপো জগদীশ। তারপর সন্ধের দিকে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ২টি পাথর বোঝাই লরি থামান তাঁরা। 


পুলিশের জালে


বাসুদেব নিজেকে GST আধিকারিকক পরিচয় দেন। কাগজপত্র দেখার ছলে ২টি লরির চালকের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। লরি চালকরা জোরদার প্রতিবাদ করলে কাকা-ভাইপো লরির কাগজপত্র নিয়ে দুর্গাপুর ব্যারাজের দিকে পালিয়ে যান। লরি চালকরা সেই সময় ঘটনার কথা জানান পুলিশের টহলদার গাড়িকে। পুলিশ তখন ধাওয়া করে ২ জনকে ধরে ফেলে।


কিন্তু কাকা-ভাইপো আগেও কি একই কাজ করেছেন? এ সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


এদিকে, কিছুধিন আগেই পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে ছড়ায় ডায়রিয়া-আতঙ্ক। জল বাহিত রোগে আক্রান্ত হন একই গ্রামের ২০-২৫ জন। বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। গ্রামে পাঠানো হয় মেডিক্যাল টিম। 


আরও পড়ুন- মধ্যরাতে অন্ডালে দু:সাহসিক ডাকাতি! সোনার গয়না-সহ লক্ষাধিক টাকা লুট