অমিত জানা, নারায়ণগড়, পশ্চিম মেদিনীপুর: স্কুলেও দুর্নীতির আঁচ। মিড-ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের কারণে শোকজের মুখে পড়লেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ের ঘটনা। স্কুলের নাম শিতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়। অভিযুক্ত শিক্ষক তৃণমূলের (TMC) প্রাথমিক শিক্ষা সেলের নেতা। ফলে এমন দুর্নীতির অভিযোগে লেগে গিয়েছে রাজনীতির রং। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


আরও একবার সামনে চলে এল স্কুলের মিড-ডে মিল (Midday Meal) নিয়ে তছরুপের অভিযোগ। গোটা ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছেন খোদ সেই স্কুলেরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।  


স্কুলের খুঁটিনাটি:
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের এই স্কুলের নাম শিতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটিতে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে। মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ১৪০ জন। এর মধ্যে সবাই সবদিন আসে না। অভিযোগ কম পড়ুয়া এলেও হাজিরা খাতায় বেশি সংখ্যায় দেখানো হয় উপস্থিত পড়ুয়ার সংখ্যা। যেমন ২০ সেপ্টেম্বর। অভিযোগ সেদিন স্কুলে উপস্থিত ছিল ৮১ জন পড়ুয়া। কিন্তু দেখানো হয়েছে উপস্থিত রয়েছে মোট ১৩৫ জন পড়ুয়া। অর্থাৎ, সেই সংখ্যা ধরেই মিড-ডে মিল প্রস্তুত হয়েছে।    


এমন গরমিলের ঘটনা সামনে আসতেই তুঙ্গে উঠেছে তরজা। মিড-ডে মিল সংক্রান্ত তথ্যে গরমিলের অভিযোগে প্রশাসনের তরফে শোকজ করা হয়েছে স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভূষণ মন্ডলকে। তিনি মকরামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষা সেলের সভাপতি।


অভিযুক্তের দাবি:
শিতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং তৃণমূল নেতা ভূষণ মণ্ডল বলেন, 'ভুলবশত ১৩৫ জনের নামে মেসেজ হয়েছে। শোকজের জবাব দিয়েছি। গন্ডগোলের কথা বিডিও-কে জানিয়েছি।' গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগড়ের বিডিও। 


রাজনৈতিক তরজা:
মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের কাজিয়া। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর অধিকারী বলেন, 'তৃণমূল মানে দুর্নীতি। তৃণমূল মানে টাকা মেরে খেয়ে নেওয়া পার্টি। তাই এমন প্রবণতা।' যদিও বিজেপির অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চায়নি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নারায়ণগড়ের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুকুমার জানা বলেন, 'বিজেপির কাজ নেই। এটা করে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে।'


আরও পড়ুন: বোলপুরে বেসরকারি ব্যাঙ্কে ভয়াবহ আগুন, অনুব্রতর নথি নষ্ট করতেই চক্রান্তের অভিযোগ!