বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল যুবকের মৃতদেহ। শুক্রবার দিনভর সেই নিয়ে তোলপাড় চলে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছিল পুলিশ। শনিবার জানা গেল, ওই যুবক তৃণমূলের সমর্থক। কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার পর রেললাইনের পাশ থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। (Paschim Medinipur News)
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাখরাবাদ এলাকার ঘটনা। মৃত যুবককে শেখ হাসিবুল রহমান নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। বয়স হয়েছিল ৩০ বছর। খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত দু'নম্বর ব্লকের অরুণ খাগড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তিনি তৃণমূলের সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার বাখরাবাদ এলাকায় রেললাইনের ধার থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল জিআরপি। গতকাল মৃতদেহ উদ্ধারের পর স্নিফার ডগ দিয়ে এলাকায় তল্লাশিও চালানো হয় রেল পুলিশের তরফে। কিন্তু তাতে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। (Bakhrabad News)
এর পর ওই যুবককে শনাক্ত করার চেষ্টা শুরু হয়। শনিবার সেই চেষ্টায় সফল হয়েছে পুলিশ। হাসিবুলের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসিবুল তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন। তাঁর কাকা, আনিসুর রহমান তৃণমূলের খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি। বর্তমানে কৃষি, সেচ এবং সমবায় সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তিনি। ভাইপোর মৃত্যুতে মুখ খুলেছেন আনিসুর। কেউ বা কারা তাঁর ভাইপোকে খুন করেছে বলেই দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Coochbehar: স্বাধীনতার পর এই প্রথম বিদ্যুৎ এল কোচবিহারের গ্রামে! আতশবাজি-মিষ্টিমুখে উৎসব পালন
সংবাদমাধ্যমে আনিসুর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোররাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলেন হাসিবুল। তার আগে কলকাতার কারও সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন তিনি। এর পর শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ বাখরাবাদ এলাকায় রেললাইনের ধার থেকে কারও দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানতে পারেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পরিবারের লোকজন। সেখানে হাসিবুলকে শনাক্ত করেন তাঁরা। হাসিবুলকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে সাজার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মৃত হাসিবুলের স্ত্রী মুক্তারা বিবি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ বাড়ি থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলেন হাসিবুল। কোর্টে যেতে হবে বলে জানিয়েছিলেন। তার পর আর স্বামীর খোঁজ মেলেনি। শুক্রবার দুপুরে মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানেত পারেন তিনি। কে বা কারা এর নেপথ্যে থাকতে পারেন, জানাতে পারেননি মুক্তারা। কলকাতার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন হাসিবুল তা-ও স্পষ্ট হয়নি স্বামীর খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মুক্তারা।