সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: সরকারি উদ্যোগে দেওয়া নিয়োগপত্র ঘিরে চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। সেই বিভ্রান্তি কাটাতে পদক্ষেপের আশ্বাস দিল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা প্রশাসন। অভিযোগকারী কর্মপ্রার্থীকেও তারা আশ্বস্ত করেছে। তবে বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। এবিপি আনন্দের খবরের জের। 


কোথায় সমস্যা:
সরকারি উদ্যোগে দেওয়া নিয়োগপত্রে তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি। এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল। তারপরেই তৎপর হল প্রশাসন। চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। অভিযোগকারী পিংলার বাসিন্দা কুশল দে। তাঁর দাবি, ১৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর খড়গপুরের সভা থেকে গুজরাতের সানন্দে টাটা মোটর্সে অন জব ট্রেনিংয়ের নিয়োগপত্র পান তিনি। চিঠি পেয়ে দেখেন, ওই দিনই সংস্থার দফতরে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। ফলে সেখানে পৌঁছতে পারেননি কুশল। এমনকী নিয়োগপত্রে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, সেই অংশে কারও নাম-ফোন নম্বর কিছুই নেই। সোমবার এই খবর সম্প্রচারিত হয় এবিপি আনন্দে। 


কী জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থী:
চাকরি প্রার্থীর দাবি, এরপরই তাঁর সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হয়। পিংলার বাসিন্দা চাকরিপ্রার্থী কুশল দে বলেন, 'এবিপি আনন্দে খবর দেখানোর পর ফোন আসে। ডিটেল জানতে চায় সব। তারপর বলা হয় বিষয়টি দেখা হচ্ছে।' জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন করে কুশল দে’কে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।


এদিকে সানন্দে টাটা মোটর্সে অন জব ট্রেনিংয়ের নিয়োগপত্র নিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করে মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, 'কর্মফল ভুগতে হয়। বাংলার যুব সমাজের পুরো প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছেন। সিঙ্গুর থেকে সানন্দ পর্যন্ত টাটাদের তাড়ানো থেকে এর শুরু হয়েছিল। এখন তিনিই বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের কাছে সানন্দে টাটা মোটরস প্ল্যান্টের ‘‘অন জব ট্রেনিং’’ নিয়োগপত্র হস্তান্তর করছেন।'


শুভেন্দুর তোপ:
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আরে ভাবতে পারেন, লজ্জা রাখবেন কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী এখানে ১১ হাজার লোককে ভুয়ো নিয়োগ দিয়ে গেলেন, নেতাজি ইন্ডোরে। ভাবতে পারছেন, কী করছে বাংলার শিক্ষিত ছেলেদের সঙ্গে।'


পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও দলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, 'যেখানে যেতে হোক উনি কেন ট্যুইট করছেন। টাটারা যখন বলছে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলা কে খাটো করতে ট্যুইট।'


আরও পড়ুন:  হাওড়া পুরসভায় বাড়ছে ওয়ার্ড? শীঘ্রই কি ভোট? নির্দেশিকা ঘিরে জল্পনা