বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: রাস্তার ধারে পড়ে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। কেউ তাঁকে খুন করে ফেলে দিয়েছে, এমনটাই দাবি মৃতের দিদির। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার খড়গপুর (Kharagpur) টাউন থানার অন্তর্গত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁজোয়াল এলাকায়।


খুন নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ?


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর টাউন থানার অন্তর্গত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁজোয়াল এলাকায় রাস্তার পাশে মাঠের মধ্যে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দ্রুত এলাকার বাসিন্দারা খবর দেন খড়গপুর টাউন থানায়। পুলিশকর্মীরা এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম লক্ষণ মান্ডি। বছর চল্লিশের লক্ষণ মান্ডি গতকাল বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আজ তাঁর মৃতদেহ মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। মৃতদেহর পাশ থেকে পুলিশ একটি সাইকেল ও একটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে। মৃতের দিদি সীতা মাহার দাবি করেছেন যে, কেউ বা কারা তাঁর ভাইকে খুন করে ওই এলাকায় ফেলে দিয়ে গিয়েছে। যদিও খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ তদন্ত করছে কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন - Goaltor : গোয়ালতোড়ে ভয় দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে !


অন্যদিকে, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ (Proper Compensation) ও চাকরির দাবিতে নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন এক মহিলা। তাঁর দাবি, মাওবাদীরা স্বামীকে অপহরণ করার পর ১২ বছর পেরিয়ে যাওয়ায়, সরকারি নিয়মে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আর্থিক সাহায্য পরিবার নিয়েছে, বঞ্চিত করা হয়েছে তাঁকে। স্ত্রী হিসাবে সরকারি আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কথা থাকলেও ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন পরিবারের অন্য সদস্য। এই অভিযোগে নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন এক মহিলা।