সুনীত হালদার, হাওড়া: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। যার জন্য কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না রাজ্যের গরিব মানুষ। এই নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়টি নিয়ে সারা রাজ্যে বুথস্তরে আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মেনেই বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে পথে নামল তৃণমূল।


হাওড়ায় মিছিল:
রবিবার সকালে হাওড়া ময়দান মেট্রো চ্যানেল থেকে এই মিছিল শুরু হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি অভিযোগ করেন, 'রাজ্য থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি।' মন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, ওষুধ-সহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।' এরই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই মিছিল শেষ হয় প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কদমতলা পাওয়ার হাউস মোড়ে।


রাজ্যজুড়ে মিছিল:
কলকাতায় রাজা রামমোহন রায় রোডে কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের মিছিল হয়। এদিন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার নেতৃত্বে জীবনতলা বাজার থেকে সদানন্দের মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা মিছিল করেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। বিধায়কের দাবি, বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদেই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে একই দাবিতে, পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরেও তৃণমূলের মিছিল। পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ শাসকদলের নেতাদের নেতৃত্বে মিছিল হয়। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তার সঙ্গেই তৃণমূল, তৃণমূলের শাখা সংগঠনগুলিকেও গ্রামে-শহরে বুথস্তরে আন্দোলন কর্মসূচি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। 


আরও পড়ুন: আমলকি, বয়রা, ব্রাক্ষ্মীর ভিড়ে 'সবুজ' তাপবিদ্যুৎ শিল্পের জমি