বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: এই শিল্প থেকে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হয়ে থাকে। কিন্তু বাধ্য হয়েই এই শিল্প চালাতে হয়। এবার পরিবেশের কথা ভেবেই একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হলদিয়ার একটি বেসরকারি তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন ( thermal power plant) কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাড়তি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ভেষজ উদ্যান। এমন ঘটনায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। আগামী দিনে হলদিয়ার অন্যান্য শিল্প সংস্থায় এই কাজই রোল মডেল করতে চাইছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। এমন সিদ্ধান্তে খুশি পরিবেশ কর্মীরা।


কয়লা পুড়িয়ে বিদুৎ উৎপাদন চলছে। তার পাশেই দেখা যাবে সবুজের সমারোহ। আমলকি, বয়রা থেকে ব্রাক্ষ্মি-অ্যালোভেরার সমারোহে তৈরি একটুকরো ভেষজ উদ্যান। হলদিয়ার বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা তাদের কারখানার ভিতরেই গড়ে তুলেছেন এমন একটি ভেষজ উদ্যান। শুধু ভেষজ উদ্যান হয়, গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ৫০টি মশলা গাছের উদ্যান। 
বেশ অনেকদিন আগে থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছিল। হলদিয়ার (Haldia) ওই শিল্প সংস্থাটি তাদের কারখানার বাড়তি জমিতে বছর দুয়েক আগে এইভাবে গড়ে তুলেছেন ভেষজ উদ্যান। ওই বাগানে রয়েছে জোয়ান গাছও। এই উদ্যোগের পরও আরও একটি ভাবনা। গড়ে তোলা হয়েছে মশলা গাছের উদ্যান। কারখানা কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ আগামীদিনে হলদিয়ার অন্যান্য কারখানায় রোল মডেল হবে বলে আশা করছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ।


কেন এমন উদ্যোগ?
হলদিয়ার ওই বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাপবিদ্যুৎ কারখানায় সবরকম ব্যবস্থা নিলেও দূষণের সম্ভাবনা থেকে যায়। সে কথা মাথায় রেখে এত গাছ লাগানো হয়েছে। তাছাড়া কর্মীদের কথা ভেবে ভেষজ উদ্যান করা হয়েছে, সংস্থার কর্মীরা ভেষজ গাছের নানা উপাদান বাড়ি নিয়ে যায় বলে জানিয়েছে সংস্থা।


হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে ২০১০ থেকে ২০১৩  সাল পর্যন্ত হলদিয়ায় নতুন শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে হলদিয়া জুড়ে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে প্রচুর গাছ লাগান হয়। নানা বিধিনিষেধ আরোপ হয়। যার ফলে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমে। কিন্তু তারপরে ফের হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। ওই বেসরকারি সংস্থার মতোই অন্য সংস্থাও এমন উদ্যোগ যাতে নেয় তা জানানো হবে বলে জানিয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোর্তিময় কর।


আরও পড়ুন: মাথার উপর গনগনে সূর্য, তাও ছায়াশূন্য হল কলকাতা, কারণ কী!