সৌমেন চক্রবর্তী, খড়্গপুর: খড়্গপুর আইআইটি-তে (Kharagpur IIT) ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে এ বার চাঞ্চল্যকর মোড় (IIT Student Death)। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ তাঁদের ছেলের নয় বলে দাবি পরিবারের।  তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ছাত্র বেশ কিছুদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন। 


খড়্গপুর আইআইটি-তে পচাগলা দেহ উদ্ধার ছাত্রের


শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের আইআইটি খড়্গপুরের হস্টেলের একটি ঘর থেকে ওই ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। হস্টেলের বন্ধ ঘর থেকে গন্ধ বেরোতে দেখে ছাত্ররা আই টি কর্তৃপক্ষকে জানান। আইআইটি কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেওয়ার পর, পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহাকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।


মৃত ওই ছাত্রের নাম ফয়জান আহমেদ। বয়স ২৩ বছর। বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পাঠরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি অসমের তিনসুকিয়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতদেহ দু'-তিন ধরে রুমের মধ্যে পড়ে থাকার কারণে পচে যায়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায় ,মানসিক অবসাদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


আরও পড়ুন: Manik Bhattacharya : কলেজ স্কোয়ারে তৎপর ইডি, মানিক-ঘনিষ্ঠের অফিসে হানা, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য


এর পর শনিবার ছাত্রের দেহ নিতে খড়্গপুর পৌঁছন মৃত ছাত্রের বাবা সেলিম আহমেদ, মা রেহানা আহমেদ এবং মাসি সালমা আহমেদ। মৃতদেহ শনাক্ত করতে ভিতরে ঢোকেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়েই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় তিনি জানান, এই ছেলে তাঁর হতেই পারে না। তাঁকে যে মৃতদেহ দেখানো হয়েছে, তা অনেক স্বাস্থ্যবান, মুখের আদল সম্পূর্ণ আলাদা। আর যদি সত্যিই তাঁর ছেলে হয়, তাহলেও আত্মহত্যা করতে পারেন না, নির্ঘাত তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন সেলিম। 


এই ঘটনায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে আর্জি জানান সেলিম। তিনি বলেন, "আপনারা বিচার করুন। এ আমার ছেলে নয়। তাকে জ্বালিয়ে কুকুর-বিড়ালের মতো ফেলে দিয়েছে। ছ'-সাত দিনের লাশকে গলকালের বলে চালানো হচ্ছে।"


দেহ শনাক্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি পরিবারের


এ নিয়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষ সরাসরি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে চাননি। তবে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন বলেই ব্যক্তিগত স্তরে তাঁরা জানিয়েছেন।  পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পাননি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে গতকাল থেকে নিজেদের মতো তদন্ত করছে পুলিশ। পরিবার খুনের অভিযোগ জানালে, সেই মতো তদন্ত হবে। এই ঘটনায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রি হিমন্তবিশ্ব শর্মা।