সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: ডেপুটেশন জমা পড়েছে। যে লেটারহেডে সেটা জমা পড়েছে। সেটায় সিপিএম ও কংগ্রেস দুই দলেরই নাম রয়েছে। ওই দুই দলের নামে যৌথ লেটারহেডে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে খড়্গপুরের মহকুমা শাসকের কাছে। সেই ঘটনায় এবার দলের নেতাদের শোকজ করল কংগ্রেস জেলা নেতৃত্ব। খড়্গপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা, যুব কংগ্রেস সভাপতি-সহ ৯ কংগ্রেস নেতাকে শোকজ করল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। ১৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে জবাব।

খড়গপুর পুরসভায় বিতর্ক যেন থামছেই না। সম্প্রতি দলের নির্দেশে পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন তৃণমূল নেতা প্রদীপ সরকার। এখনও নতুন চেয়ারম্য়ানের নাম ঘোষণা হয়নি। তা নিয়েই ৩০ ডিসেম্বর পুরসভায় অচলাবস্থার অভিযোগ তুলে মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেন কংগ্রেস ও সিপিএমের সদস্যরা। সেই ডেপুটেশন ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ডেপুটেশনের জন্য যে লেটারহেডে ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে একসঙ্গে লেখা হয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া মার্কসিস্ট। তাতে ৯ কংগ্রেস নেতা ও ৩ সিপিএম নেতার সই রয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই পুরসভার বিরোধী দলনেতা ও যুব কংগ্রেস সভাপতি-সহ ৯ জন কংগ্রেস নেতাকে শোকজ করে কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব।

কংগ্রেসের প্রশ্ন:কখন, কীভাবে খড়গপুরে কংগ্রেস ও সিপিএম দুই দল একসঙ্গে জুড়ল? তাদের যৌথ লেটারপ্য়াডই বা কবে ছাপানো হল? এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, কাল্পনিক সংগঠনের নামে ছাপা লেটারপ্যাডে সই করা দলের শৃঙ্খলার বিরোধী বলে নোটিস দেওয়া হয় কংগ্রেস নেতাদের। 

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সমীর রায় বলেন, 'বালখিল্য কাজ, মার্জ তো হয়নি দুটো দল। এতে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে।' জেলা যুব কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুরের সভাপতি উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, 'দল জুড়ে দেওয়ার ব্যাপার নেই, বাম-কং মিলে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। বয়স হয়েছে ওঁর, তাই ভুল বোঝাচ্ছে কেউ।'

তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজোটে সরব হয়েছেন, নেপথ্যে অন্য কোনও সমীকরণ নেই বলে দাবি করেছে সিপিএম। জেলা সিপিএমের সদস্য সবুজ ঘোড়ই বলেন, 'এলাকায় ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে বলে উদ্বিগ্ন, একসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, শোকজ কংগ্রেসের বিষয় ওদের দলের।'

এনিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, 'শতাব্দী প্রাচীন দল, এটা বাম-কংগ্রেসের দেউলিয়াপনা।' আরও পড়ুন:  ক্যানিংয়ে আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভ, ICDS কর্মীকে মারধর