অলোক সাঁতরা, মেদিনীপুর :  করোনার বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখে পশ্চিম মেদিনীপুরে একাধিক সরকারি কর্মসূচি বাতিল করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত  "বিদ্যাসাগর মেলা" । মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর সারা রাজ্যে পিছিয়ে গিয়েছে 'দুয়ার সরকার' কর্মসূচি। এর মাঝেই মেলা করার অনুমতি পেল  একদল শিল্পোদ্যোগী। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হল মাঠে বুধবার থেকে শুরু হল জেলা শিল্প মেলা। অংশ নিয়েছে ৪০ টি প্রদর্শনী স্টল। চলবে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।


পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ‌ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অন্ত্রপ্রনর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই জেলা শিল্প মেলার আয়োজন হয়। করোনা পরিস্থিতিত গত বছর সেই মেলার আয়োজন হয়নি। এই বছর ৯ -এ পড়ল মেলাটি।  অনেক আগে থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অনুমতিও নেওয়া হয় প্রশাসনের। কিন্তু মেলা শুরুর দুদিন আগেই কোভিড বিধি ও আংশিক বিধি নিষেধ জারি হয়ে যায়।

আরও পড়ুন :


ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে আক্রান্ত হলেন আরও ১০০




রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে, জেলার একের পর এক সরকারি কর্মসূচি বাতিল করতে হয়। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে বাতিল করা হয় সরকারি মেলা। ঘাটাল মহকুমাতে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাসাগর মেলাও বাতিল ঘোষণা করে প্রশাসন। এতকিছু বন্ধের মাঝেও মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হল মাঠে জেলা শিল্প মেরা করার অনুমতি পায় কর্তৃপক্ষ। কঠোর করোনা বিধি মানা হবে, এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় অনুমতি পায় তারা। সেইমতো মেলা শুরু হলেও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার তালিকায় থাকা মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা কেউই হাজির হয়েছিলেন না। ছিলেন কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও বিধায়ক জুন মালিয়া।


উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে চন্দন বসু জানান, " মেলায় কঠোর ভাবে করোনা বিধি মানা হচ্ছে। স্যানিটাইজেশন চলছে। সোশ্যাল ডিসটেন্সিং ও মানা হচ্ছে। কমানো হয়েছে অর্ধেক দোকানের সংখ্যা।"

তবে বাস্তবে, মেলায়  আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে কোভিড বিধি মানার প্রবণতা দেখা গেল না। চোখে পড়ল বেশ ভিড়। 

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বিধায়ক জুন মালিয়া বলেন, " এই জেলাতেও শিল্পোদ্যোগের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই জেলা শিল্প মেলাতে কঠোর করোনা বিধি মেনে চলছে ।