অমিত জানা, সবং: ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। ঝগড়া-অশান্তি-প্রেম, সবমিলিয়ে কেটে গিয়েছে ২৫টি বছর। কিন্তু শেষটা সুখের হল না শেষ পর্যন্ত। বরং ভালবেসে বিয়ে করা স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মত্ত অবস্থায় তিনি স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন এবং তাতেই স্ত্রীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সবংয়ে। (Sabang News)
পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থেকে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। সবং থানার অন্তর্গত মোহড়ের বাসুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ওই দম্পতি। শনিবার রাতে ওই মহিলার মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় স্বামী পিটিয়ে খুন করেছেন তাঁকে। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ অভিযুক্ত স্বামী। তাঁর খোঁজে চালাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ। (Paschim Medinipur News)
নিহত মহিলার নাম ঝর্ণা সামন্ত। বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তাঁর স্বামী, অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেন ঝর্ণা এবং রবীন্দ্রনাথ। বিয়ের পর থেকে পরিবারে ঝগড়া-অশান্তি লেগেই থাকত। সেই নিয়েই চলছিল দু'জনের সংসার। তাঁদের তিন সন্তানও হয়, এক ছেলে এবং দুই মেয়ে।
কয়েক বছর আগে দুই মেয়ের বিয়েও দেন ঝর্ণা এবং রবীন্দ্রনাথ। নিহত ঝর্ণার ভাইয়ের অভিযোগ, শনিবার রাতে রবীন্দ্রনাথ মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। রাতের খাওয়াদাওয়াও সারেন। এর পর কোনও কারণে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় তাঁর। সেই সময় ভারী বস্তু দিয়ে স্ত্রীকে মারধর করেন রবীন্দ্রনাথ। ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেন। কী কারণে অশান্তি বাধে দু'জনের মধ্যে তা নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে পরিবার এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। সেই থেকেই এই পরিণতি।
রবিবার সকালে বিষয়টি চাউর হয়। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বাড়িতে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন। এর পর খবর যায় সবং থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ ঝর্ণার মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ঝর্ণার বাপের বাড়ির তরফে সবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে পুলিশের তরফে।