সোমনাথ দাস, ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর: সমবায় নির্বাচনে (cooperative polls) প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল, ১২টি আসনের সবকটিতেই জয়ী হলেন বাম (Left) প্রার্থীরা। যদিও বিজেপির ৪ প্রার্থী ছিলেন লড়াইয়ে। তাঁদের ভোট লাল শিবিরের ভোটের ধারে পাশেও যেতে পারেনি। লাল পতাকার এমন জয়ে উচ্ছ্বসিত বামেরা।


পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ২ ব্লকের খুকুড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat) এলাকার কাশিনাথপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে এমন ফল হয়েছে। এলাকার সিপিএমের  নেতা অমল ঘোরই জানান,  রবিবার এই সমবায়ে ৯ টি আসনে ভোটাভুটি হয়। মোট ভোটার  ৬৬৯ জন,ভোট পড়ে ৬৫১ টি।  সিপিএমের এক প্রার্থী ৫৭৭ টি ভোট পান। অন্যদিকে বিজেপির এক প্রার্থীর সর্বোচ্চ প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮১ টি। ১২ টি আসনের লড়াইয়ে আগেই ৩ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল লাল শিবির। অপরদিকে ৯ আসনের লড়াইয়ে তৃণমূল কোনও আসনে প্রার্থীই দেয়নি। বিজেপি ৪টি আসনে প্রার্থী দিলেও সবকটি আসনেই জয় পায় লাল শিবির। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল,দাসপুর বিধানসভা সেই তৃণমূলের (TMC) দখলে।


কেন প্রার্থীই দিতে পারল না তৃণমূল?
দাসপুর (Daspur) ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সৌমিত্র সিংহ রায়ের জবাব,ওই সমিতি দীর্ঘদিন ধরেই বামেদের দখলে আছে। সেই সুযোগে বামেরা নিজেদের দলের লোকেদের সদস্য করেছে। আর তারাই ভোট দিচ্ছে। তাই ওখানে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে লাল শিবিরের দাবি দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করে সমিতি চালিয়েছে শাসক দল ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে। আদালতের (Court) দ্বারস্থ হয়ে এই নির্বাচন হল। এ বিষয়ে দাসপুর ২ এর বিজেপি (BJP) নেতা প্রশান্ত বেরা বলেন বরাবরী দাসপুরে বাম এবং তৃণমূল একসঙ্গে লড়াই করেন। এবারও তাই হল, বামেদেরকে জেতার জন্য তৃণমূল একটাও প্রার্থী দেয়নি। এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে বাম এবং তৃণমূল একসাথে সমবায় লড়াই করেছে।


এর আগে নন্দকুমারে সিপিএম-বিজেপি প্রার্থীরা জোট বেঁধেছিল। সেবার জিতেওছিল বাম-বিজেপি জোট। পরে অবশ্য মহিষাদলে (Mahishadal) হেরে যায় বাম-বিজেপি প্রার্থীরা। অন্যদিকে মহিষাদলের গেওঁখালিতে সমবায় সমিটির ভোটে জোট বেঁধেছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস। এবার অবশ্য কোনও জোটের ঘটনা ঘটেনি। একাই লড়়েছে বামেরা, পেয়েছে জয়ও।


আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দল, চেয়ারম্য়ানকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ