কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোলে (Asansol) কুকুর আতঙ্ক। কুকুরের কামড়ে (Dog bite) এক ধাক্কায় আক্রান্ত ৩৬ জন। 


আসানসোল শহরের মানুষ এখন কুকুরের আতঙ্কে ত্রস্ত। অসুস্থ কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হলেন একসঙ্গে ৩৬ জন। আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন ওই ৩৬ জন রোগী। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ জেলা হাসপাতাল ছাড়াও অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে বা ডাক্তারের চেম্বারেও চিকিৎসা করিয়েছেন।


আরও পড়ুন: Bankura: পর্যটকদের সুবিধার্থে নয়া উদ্যোগ বাঁকুড়া জেলা পুলিশের, কাজ শুরু করল 'ট্যুরিস্ট পুলিশ'


আসানসোলের বাসিন্দারা এই সাংঘাতিক ঘটনার সম্মুখীন হন বুধবার। রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটে। এঁদের মধ্যে ৬ জন মহিলা আছেন বলে জানা গেছে। প্রত্যেককেই আসানসোল জেলা হাসপাতালে আনা হয়। স্থানীয়দের দাবি কুকুরটি অসুস্থ। রাতে আক্রান্ত বাসিন্দাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ অ্যান্টিরেবিস ভ্যাকসিন বা এআরভি নেওয়ার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে এক এক করে আসতে থাকেন আক্রান্তরা। 


আসানসোল দক্ষিণ থানার উল্টোদিকে ফায়ার ব্রিগেড সংলগ্ন এলাকা, ঘাঁটি গলি, রাহা লেন, লক্ষ্মী মন্দির অঞ্চল সহ বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দারা কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই সন্ধ্যাবেলা বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। কেউ কেউ আবার  অফিস বা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ কালো রঙের রাস্তার কুকুরের খোঁজ চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।


অন্যদিকে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঙ্গা বটতলার ভোটঘাটি গ্রামের বাসিন্দারা এখন বাঘের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। 


বৃহস্পতিবার দুপুরে ছোট চা বাগানের মাঝে একটি মৃত বাছুর দেখতে পায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এরপরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। বুধবার থেকে ওই বাছুরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। যে মাঠে বাছুর (Calf) বেঁধে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে চা বাগানের ভিতরে মৃত অবস্থায় বাছুরটিকে দেখতে পায় সেই চা বাগানের শ্রমিকেরা।