অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানা এমপি লেডের ত্রিপল দলীয় কার্যালয়ের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ। 


এই ঘটনায় বিজেপি নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীদের নিশানা করেছে তৃণমূল। বৃষ্টিতে সাংসদ কোটার দুর্গত মানুষদের জন্য বরাদ্দ ত্রিপল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না, অথচ সেই ত্রিপল বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠেছে। 


কেশিয়াড়ি থানার কলাবনির বিজেপির বুথ কার্যালয়ের ছাউনি হিসেবে একাধিক ত্রিপল দেওয়া রয়েছে, এমনটাই অভিযোগ। আর এই ত্রিপল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গ্রামবাসী নারায়ণচন্দ্র দে বলেন, "আমাদের সাংসদ দিলীপ ঘোষ যে ত্রিপল পাঠিয়েছেন তা আমরা ব্যবহার করার জন্য পাচ্ছিনা। অথচ সেই ত্রিপল ওঁদের পার্টি অফিসের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করছেন। আমরা গিয়েছিলাম সেখানে, ওঁরা বলল ত্রিপল নেই।"


বিজেপি নির্বাচিত কলাবনি পঞ্চায়েত সদস্য সনাত্তন মান্ডি জানান বিধানসভায় সাংসদের দিলীপ ঘোষের ফান্ড থেকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি ত্রিপল পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যারা ঘর পায়নি তাঁদের জন্যই এগুলি পাঠানো হয়েছিল।


গ্রামবাসীদের অভিযোগের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যে ত্রিপলটি দলীয় কার্যালয়ের উপরে লাগানো রয়েছে শহরের দলীয় ফান্ড থেকে তা কিনে লাগানো হয়েছে বলে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। যদিও কেশিয়াড়ি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অশোক রাউত জানান এই এলাকার সাংসদ দিলীপ ঘোষ তিনি অধরা। তাঁকে দেখা যায় না। তাঁর অস্তিত্ব নেই তিনি নামেই এই এলাকার সাংসদ হয়ে আছেন। 


তৃণমূলের অভিযোগ দিলীপ ঘোষের লোকেরা লুটপাট করছে। অশোক রাউত বলেন, আমরা জানি ত্রিপল আসে গরিব মানুষের জন্য। গত দু'দিন ধরে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে ত্রিপল আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে তারা পার্টির অফিসে লাগাচ্ছেন সরকারের দেওয়া ত্রিপল। ত্রিপল নিয়ে দুর্নীতি চলছে। এখন আমরা যথাস্থানে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরির অভিযোগ দায়ের করব।  তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয় সেই আবেদন জানান হবে।