সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: ড্রিলিং মেশিন নিয়ে সমস্যার জের। ১২০ টাকার স্ক্রু ড্রাইভারের (Screw Driver) ড্রিল (Drill) পাল্টে না দেওয়ায় দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের (Consumer Affairs Department) দ্বারস্থ হলেন মেদিনীপুরের (Medinipur) বাসিন্দা।
ড্রিলিং মেশিন নিয়ে ঝামেলা
জিনিস চেয়েছিলেন একরমক। পেলেন অন্যরকম। কিন্তু সেটি পাল্টাতে গেলে দোকানের তরফে সহযোগিতা করা হল না ক্রেতার সঙ্গে। অভিযোগ এমনটাই।
২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর মেদিনীপুর শহরের একটি দোকান থেকে স্ক্রু ড্রাইভারের মেশিনারি ড্রিল বিট কিনতে গিয়েছিলেন এক ক্রেতা। অভিযোগ তাঁকে মেশিনারির বদলে হ্যামার ড্রিল বিট দেওয়া হয়। দাম নেওয়া হয় ১২০ টাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হ্যামার ড্রিলের থেকে মেশিনারি ড্রিল বিট উন্নত ও আধুনিক। বাড়িতে নিয়ে এসে মেশিনারি ড্রিল বিট নয় বলে বুঝতে পারেন ওই ব্যক্তি। পরেরদিন সেটি পাল্টাতে নিয়ে যান মেদিনীপুর শহরের মহম্মদ এনায়েত উল্লা। অভিযোগ বিক্রেতা পাল্টে দেওয়া বা ফেরত নেওয়া, কোনওটাই করতে চান নি।
অবশেষে সেই বছরই ৩০ ডিসেম্বর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি দুই পক্ষকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর থেকে নোটিস দিয়ে ডাকা হয় মীমাংসার জন্য। কিন্তু বিক্রেতাদের তরফ থেকে কেউ সেখানে হাজির হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Purulia News: তপন কান্দু খুনের ঘটনায় ফের সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ঝালদা থানার আইসি
এরপর বাধ্য হয়েই দফতরের তরফ থেকে জানানো হয় যে মধ্যস্থতা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে অভিযোগকারী জানিয়ে দেওয়া হয় যে তিনি চাইলে আদালতে যেতে পারেন। এরপর ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতের নোটিস দেওয়া হয়। সেখানেও কোনও উত্তর না পেয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন এই ক্রেতা। সেই মামলায় পরপর চারটে শুনানির তারিখে অনুপস্থিত থাকে বিক্রেতা। এরপর চলতি বছরের গত ২৭ এপ্রিল রায় দিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। সেখানে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০০০ টাকা এবং মোকদ্দমার খরচ বাবদ ২০০০ টাকা মিলিয়ে মোট ৭০০০ টাকা ছয় সপ্তাহের মধ্যে ক্রেতাকে দেওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে।
কী দাবি বিক্রেতার?
অন্যদিকে এই ধরনের কোনওরকমের ঘটনা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিক্রেতা। এবং এই ধরনের রায়কে নজিরবিহীন বলেছেন ওই দফতরের রাজ্য চেয়ারম্যান অজিত মাইতি।
'সাহা টুলস্'-এর মালিক অভিযুক্ত বিরাশা সাহা বলেন, 'সাহা টুলস আমাদের দোকানের নাম। 'সাহা স্টোরস' আমাদের দোকান না। এই বিল কার জানি না। আমাদের জিএসটি বিল আছে, স্ট্যাম্প প্যাড আছে। এ বিষয়ে তাই কিছু জানি না।'