সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: গত ১৩ মার্চ ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুকে (Tapan Kandu) পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়। একটি গুলি তাঁর পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়, আরেকটি মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। আজ সেই ঘটনায় ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝালদার অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে ডাকা হল ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে তিনি পৌঁছন ঝালদার অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারেরা।


ফের জিজ্ঞাসাবাদ ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে-


কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছিল। পাশাপাশি ঘটনার দিন কয়েক পরই নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দির সঙ্গে ঝালদা থানার আইসির কথপোকথনের অডিও ভাইরাল হয়। এই ঘটনার পর গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগেও গত ১৪ এপ্রিল দু দফায় প্রায় প্রাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সঞ্জীব ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ঝালদার অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ। আর ফের তাঁকে ডাকা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।


আরও পড়ুন - Purulia News: বক্স বাজানো ঘিরে অশান্তি, বিয়েবাড়িতে ঢুকে লাঠিচার্জ, গুলি পুলিশের! পথ অবরোধ স্থানীয়দের


প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ এখনও হয়নি। রহস্যময় পরিস্থিতিতে খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর কিনারাও এখন হয়নি। তারই মধ্যে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ছেলেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে! সেই তৃণমূল কর্মী পাল্টা তপন কান্দুর পরিবারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন। ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ভাইপো দীপক কান্দুকে গত মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তিনি। পুরভোটে কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কাছেই হারেন দীপক কান্দু। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। 


সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়, প্রত্যক্ষদর্শীরা বয়ান অনুযায়ী, কংগ্রেস কাউন্সিলরকে যেদিক থেকে গুলি করা হয়, তাতে গুলি ডানদিক দিয়ে ঢুকে বাঁ দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, গুলি বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে ডান দিকে দিয়ে বেরিয়েছে।