অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Pashchim Medinipur) কেশিয়াড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রচুর চোলাই মদ (hooch raid) ও মদ তৈরির তরল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় আবগারি দফতর। উদ্ধার হয়েছে মদ তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জামও।


কেশিয়াড়ি থেকে মিলল চোলাই মদ ও মদ তৈরির তরল


১২ দিনের ব্যবধানে দুই জেলায় মদ খাওয়ার পর বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ৭ তারিখ পূর্ব বর্ধমানে মদ খাওয়ার পর অসুস্থ হয় ৬ জনের মৃত্যু হয় বলে দাবি। গত মঙ্গলবার হাওড়ার ঘুসুড়িতে, তার পুনরাবৃত্তি হয়। মদে বিষক্রিয়ায় ১১ জনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বেশ কয়েকজন। এরইমধ্যে, পশ্চিম মেদিনীপুরে, কেশিয়াড়ি থানার বেলুট গ্রাম থেকে উদ্ধার হল চোলাই মদ তৈরির ২ হাজার ৬০০ লিটার তরল। মিলেছে ৯০ লিটার চোলাই মদ।


উদ্ধার হয়েছে মদ তৈরির সরঞ্জাম। প্রচুর হাঁড়ি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শনিবার ভোরে অভিযান চালান আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। আবগারি দফতর জানিয়েছে, আগামী দিনেও এই ধরনের অভিযান চলবে। 


বিষ মদে প্রাণহানি


চলতি মাসের শুরুর দিকেই পূর্ব বর্ধমানে মদের বিষক্রিয়ায় ৬ জনের মৃত্যুর অভিযোগ তো রয়েছেই। এর আগে ২০১৮-র নভেম্বরে বিষ মদ খেয়ে প্রাণ হারান ১২ জন। তার ঠিক এক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে মদের বিষক্রিয়ায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৫-র সেপ্টেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় মদ খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে মারা যান ২১ জন! তারও আগে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে জয়নগরে একই ঘটনা ঘটে। প্রাণ হারান ৫ জন।  


আরও পড়ুন: Arpita Mukherejee: চাকরিপ্রার্থীদের থেকে নেওয়া টাকা যেত সরকারি আমলা, নেতা-মন্ত্রীদের কাছে: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়


বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ায় ৬ জনের মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনার রেশ কাটার আগেই, এবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার ঘুসুড়িতে! এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১১ জনের! হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন আরও বেশ কয়েকজন। গোটা ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে!