সুনীত হালদার, হাওড়া: চলন্ত লোকাল ট্রেনে উঠতে গিয়ে ফের বিপদের সম্মুখীন হলেন এক যাত্রী। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন। রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৬ নম্বর প্লাটফর্ম। আরপিএফ সূত্রে খবর, ৬ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে আপ হাওড়া বর্ধমান লোকাল ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার সেই সময় একজন যাত্রী দৌড়ে ট্রেনে উঠতে যান। তাড়াহুড়োয় প্লাটফর্ম এবং ট্রেনের মধ্যের ফাঁকা অংশে পড়ে যান তিনি। এ দিকে ছেড়ে দেয় ট্রেনও। ফাঁকে পড়ে যাওয়া অবস্থাতেই ট্রেনের সঙ্গে ঘষতে ঘষতে বেশ কিছুটা চলে যান ব্যক্তি।                                                                                            


সেই সময়ে কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানদের চোখে পড়ে ঘটনাটি। দেখতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন তাঁরা। বরাত জোরে বেঁচে যান যাত্রী। ওই যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। গোটা ঘটনাটাই সিসিটিভি ক্যামেরা বন্দি হয়।


একাধিক নিষেধাজ্ঞা সত্বেও কেন বারবার বিপত্তি? আরপিএফ-রা বলছেন যাত্রীদের বারবার অনুরোধ করা হলেও একশ্রেণীর যাত্রীরা চলন্ত ট্রেনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন। তার ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছে আরপিএফরা। এই ধরনের কাজ থেকে তাদের বিরত থাকার অনুরোধও জানানো হয়েছে।         


এর আগেও একাধিকবার এই ছবি ধরা পড়েছে, কিছুদিন আগে মালদা (Malda) ডিভিশনের আরপিএফের তৎপরতায় জীবন বাঁচে এক বৃদ্ধ দম্পতির। মালদার লেডি কনস্টেবল, সুলতা মণ্ডল একজন বৃদ্ধ দম্পতি যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন। এ দিন ঠিক দুপুর ২.২০ নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা (১৩১৭৫) এক্সপ্রেস ট্রেনটি মালদা রেলওয়ে স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়ার সময় সেই বৃদ্ধ দম্পতি তাড়াহুড়ো করে ধীর গতিতে চলমান ট্রেনের বগিতে ওঠার চেষ্টা করেন, কিন্তু হঠাৎ বৃদ্ধ মহিলা যাত্রী প্ল্যাটফর্মে পিছলে পড়ে যান এবং তিনি ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্ম প্রান্তের মাঝখানের ফাঁকে পড়ে যেতেন কিন্তু তৎক্ষণাৎ কর্তব্যরত 'মেরি সহেলি' দলের লেডি কনস্টেবল সুলতা মণ্ডল এবং একজন যাত্রীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে মহিলা যাত্রীর মূল্যবান জীবন বাঁচানো হয়। পরবর্তীতে ওই বৃদ্ধ দম্পতি যাত্রীকে ট্রেনে ওঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। কোনও আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।