কলকাতা: পুজোর মুখে পরপর ৩ দিন জ্বালানির দাম বাড়াল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কলকাতায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ৩০ পয়সা করে। 


কলকাতায় পেট্রোলের লিটারপ্রতি দাম হল ১০২ টাকা ৭৭ পয়সা। লিটারপ্রতি ৯৩ টাকা ৫৭ পয়সা হল ডিজেলের দাম। করোনা পরিস্থিতিতে যখন নাগরিকদের পকেটে টান পড়েছে, সেই সময় ফের জ্বালানির দাম বাড়ায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। তবে আন্তর্জাতিক বাজারেও অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে।


এর আগে, গতকালও, ৩০ পয়সা করে বেড়েছিল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম।  গতকাল কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি হয়েছিল ১০২ টাকা ৪৭ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের দাম হয়েছিল ৯৩ টাকা ২৭ পয়সা।  তার আগে, গত পরশুও একইভাবে ৩০ পয়সা করে বেড়েছিল এই দুই জ্বালানির দাম। 


জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহণ খরচ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ার সম্ভাবনা। ফলে পুজোর মুখে বাড়তে পারে সবরকম জিনিসপত্রের দামও। এসব নিয়ে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।  


শুধু তাই নয়। গতকাল বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়। ১৯ কেজি বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় বাড়ে ৩৫ টাকা। যার ফলে, কলকাতায় বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ১৮০৫ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে পুজোর সময় বাড়তে পারে রেস্তোরাঁয় খাবার খরচ। সাধারণ মানুষের মতো সমস্যায় ব্যবসায়ীরাও। 


অন্যদিকে, প্রাকৃতিক গ্যাসের ৬২ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে সিএনজি-র দামও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।  একইভাবে বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন, সার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক গ্যাস। ফলে সারের দামও বাড়তে পারে। 


করোনা আবহে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। হাতে টাকা নেই। তার ওপর অগ্নিমূল্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। এসবের মধ্যে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্তর। 


এই পরিস্থিতিতে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো বাড়ছে জ্বালানির দাম। দাম বৃদ্ধি নিয়ে পাল্লা দিয়ে চলছে রাজনীতি। জ্বালানির দাম নিয়ে তরজায় জড়িয়েছ সব রাজনৈতিক দলই। কিন্তু স্বস্তিটা মিলবে কবে? জানতে চাইছে সাধারণ মানুষ। 


আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও এদেশে কমেনি পেট্রোলের দাম


আরও পড়ুন: প্রাতরাশ-বৈঠকের পর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাহুলের সাইকেল র‍্যালি