কলকাতা: বাংলায় সেঞ্চুরি ডিজেলেরও। ৬ জেলায় ১০০ পার করল ডিজেলের দাম। 


পুরুলিয়ার ঝালদায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা ২৯ পয়সা, ডিজেলের দাম ১০০ টাকা ৪৯ পয়সা। দার্জিলিঙে পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১০৯ টাকা ৩০ পয়সা দরে, সেখানে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১০০ টাকা ২৯ পয়সা।


আলিপুরদুয়ারে পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ১০৮ টাকা ৯৬ পয়সা, ডিজেলের দাম লিটারে ১০০ টাকা ১৭ পয়সা। কোচবিহারে পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১০৮ টাকা ৮৬ পয়সা দরে, সেখানে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১০০ টাকা ৮ পয়সা। 


নদিয়ার কৃষ্ণনগরে পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ১০৮ টাকা ৯৪ পয়সা, ডিজেলের দাম ১০০ টাকা ১৬ পয়সা। মুর্শিদাবাদে পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১০৮ টাকা ৮০ পয়সা দরে, সেখানে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১০০ টাকা ৩ পয়সা। 


উত্‍সবের মরসুমে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির জ্বালানির দাম বাড়ানোয় বিরাম নেই। পরপর চারদিন কলকাতায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ল। লিটারে ৩৪ পয়সা বেড়ে শহরে পেট্রোলের নতুন দাম হল ১০৭ টাকা ৭৮ পয়সা। 


আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে পেট্রোপণ্যের মূল্য, বিমানের তুলনায় ৩০ শতাংশ বাড়ল অটোর জ্বালানির দাম


কলকাতায় সেঞ্চুরি না করলেও তার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ডিজেল। লিটারে ৩৫ পয়সা বেড়ে আজ কলকাতায় ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ০৮ পয়সা।


জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারেও। পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাছ থেকে সব্জি, সবকিছুরই দাম বাড়ছে। টমেটোর দাম কেজিতে ১০০ টাকা, পেঁয়াজ হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। কুড়িতে পৌঁছে গেছে আলু। সর্ষের তেল ডবল সেঞ্চুরি করেও ছুটছে। দামের ছ্যাঁকায় মাছ-মাংসে ছোঁয়াই দায়।  পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের।


এই অবস্থায় ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় ডিজেল ১০০ টাকা ছুঁলে, ১ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে পেট্রোল পাম্প।  


লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের জীবন যখন দুর্বিষহ অবস্থা তখন জ্বালানির দাম নিয়ে আজব মন্তব্য করেছেন বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশের এক মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী উপেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, যাঁদের অবস্থা ভাল, তাঁরাই চার চাকা ব্যবহার করেন। দেশের ৯৫% মানুষের পেট্রোল-ডিজেলের প্রয়োজন নেই। মানুষের আয় বাড়লেও, সেই তুলনায় তেলের দাম অনেক কম।


আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও এদেশে কমেনি পেট্রোলের দাম


রকেট গতিতে বেড়ে চলা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য মোদি সরকারকে বিঁধেছেন রাহুল গাঁধী। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, আমজনতার সঙ্গে নিষ্ঠুর পরিহাস করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ট্যুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসেদর সংযোজন, জ্বালানি লুঠ করতে মোদি সরকার নতুন এক শব্দ এনেছে ফিলিওনেয়ার। অর্থাৎ, যে ফুল ট্যাঙ্ক তেল ভরতে পারে। 


জ্বালানি তেলের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা করে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী লিখেছেন, মনে রাখবেন, আপনারা যখন প্রতিদিন চড়া দামে পেট্রোল ও ডিজেল কেনেন, মোদি সরকার তখন পেট্রোপণ্যে ২৩ লক্ষ কোটি টাকা কর আয় করেছে। আপনারা যখন রোজ চড়া দামে জ্বালানি ও সব্জি কেনেন, তখন এই সরকারের সময়ে ৯৭% পরিবারের আয় কমেছে। কিন্তু খবর অনুযায়ী, মোদিজির বন্ধুরা প্রতিদিন হাজার কোটি টাকা আয় করছেন।