কলকাতা: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর কলকাতা পুরভোট (KMC Election 2021) সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বকেয়া পাঁচ পুরসভার নির্বাচন (WB Municial Election) নিয়ে রাজনৈতিক তরজা নতুন মাত্রা পেল। সোমবার বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি পুরসভার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। তা নিয়েই নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। মামলা পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টেও। সেখানে কমিশনের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে।


বকেয়া পুরসভায় ভোট করানো নিয়ে সোমবার দুপুরে সর্বদল বৈঠক হয়। তার পরই হাওড়াকে বাদ রেখে চার পুরসভায় ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেয় পুরসভা। তা নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেছেন আইনজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন, পাঁচ পুরসভায় নির্বাচনের কথা বলেও কেন চার পুরসভার ভোট হচ্ছে?


ইমেল মারফত হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন সব্যসাচী। সোমবার রাতের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির দাবি করেছেন। কিন্তু আদালতের তরফে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও জবাব আসেনি। তাই রাতেই বিষয়টির শুনানি হবে, নাকি পরবর্তী কোনও দিনে তা এখনও অস্পষ্ট।


আরও পড়ুন: West Bengal Municipal Election: রাজ্যের চার পুরসভায় ভোট ২২ জানুয়ারি, চালু হয়ে গেল আদর্শ আচরণবিধি


বিচারপতিকে লেখা ওই চিঠিতে সব্যসাচীর অভিযোগ, বার বার আদালতে মিথ্যাচার করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মিথ্যা তথ্য পেশ করা হয়েছে আদালতে। একসঙ্গে হাওড়া, আসানসোল, চন্দননগর বিধাননগর এবং শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট হবে বলে আদালতে জানিয়েছিল কমিশন। কিন্তু চার পুরসভারই নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশন দ্বিচারিতা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই আইনজীবী।


এই নিয়ে বিরোধীরাও কার্যত ফুঁসছেন। এ দিন সর্বদল বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন বামেরা। বৈঠক বয়কট করে বিজেপিও (BJP)। দলের সাংসদ অর্জুন সিংহ (Arjun Singh) বলেন, “নামেই সর্বদল বৈঠক। আসলে রাজ্যের সিদ্ধান্তই জানিয়েছে কমিশন।” নির্বাচনের নামে ছেলেখেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে, সরাসরি নির্ঘণ্ট প্রকাশের ঘটনাও নজিরবিহীন বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী শিবিরের।