কলকাতা: সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে পদ্মশিবিরে গিয়েছেন কৌস্তভ বাগচি (Koustav Bagchi)। দলবদলের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে, 'সন্দেশখালির মতো ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, সেখানে কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্বের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।' আজ বঙ্গ সফরে এসে সেই প্রশ্নই তুললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সন্দেশখালিকাণ্ডে মোদির নিশানায় কংগ্রেস (Congress)-সহ বিরোধী জোটের (I.N.D.I.A) বামেরা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,'মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাওয়ার সাহস পর্যন্ত দেখাননি বাম-কংগ্রেস।'


এদিন বিরোধী জোটকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,'সব দেখেও না দেখার ভান বিরোধী জোটের সদস্যদের। মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাওয়ার সাহস পর্যন্ত দেখাননি বাম-কংগ্রেস। বিরোধী জোটের সদস্যরা চোখ-কান-মুখ বন্ধ করে বসে আছে। কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি বলছেন, এমন তো হতেই পারে, এটা বাংলার মানুষের অপমান।' মূলত, শিবির বদলের পর কৌস্তভ আরও বলেন, আগে এমন প্রচুর ঘটনা ঘটেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে বিজেপির তরফে সেন্ট্রাল টিম, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম, কেন্দ্রীয় নেতারা এসেছেন। কংগ্রেসের তরফে কেউ আসেননি।' এরপরেই সন্দেশখালির ঘটনায় নিজের ছেড়ে আসা শিবিরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান কৌস্তভ বাগচি।  


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, INDI জোটের বড় বড় নেতা সন্দেশখালির পর চোখ কান মুখ, গাঁধীজির যে ৩ বাঁদর, ওই ৩ বাঁদরের মতো, চোখ, কান, নাক, মুখ সব বন্ধ করে বসে আছে।এই বক্তব্যের  এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালি নিয়ে অবশ্য়ই বলতে পারেন, যেহেতু সন্দেশখালি দেশের অংশ, কিন্তু মণিপুর নিয়ে বলতে ওনার বাধা কিসের? সেটা নিয়ে কিন্তু উনি কখনও কিছু বলতে পারেন না।'


আরও পড়ুন, 'রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা কাঁদছে..', সন্দেশখালিকাণ্ডে মন্তব্য মোদির


এদিন লোকসভা ভোটের মুখে বাংলায় প্রথম প্রচার সভা থেকে বিরোধীদের দিকে সন্দেশখালি বাণ ছুড়লেন নরেন্দ্র মোদি। কেন ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুলছে না, এই প্রশ্ন করতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের একটি মন্তব্য়কে হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সম্প্রতি সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে খাড়গে বলেন, ওখানে (বাংলায়) প্রায়শই এসব চলতে থাকে। একদিকে কংগ্রেস পার্টির লোক, একদিকে কমিউনিস্ট পার্টির লোক, আরেকদিকে TMC। এই নিয়ে বেশি কিছু বলব না। মহিলাদের ওপর অত্য়াচারের নিন্দা করছি। এটা নিয়ে তো আমরাও লড়ছি। স্বাধীনতার পর মহিলাদের কেউ যদি ভোটিং পাওয়ার দিয়ে থাকে, তা কংগ্রেস দিয়েছে।