কাকদ্বীপ : শেষ দফা ভোটের প্রচারে আজ কাকদ্বীপে সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi Mathurapur Loksabha Elections)। শনিবার সপ্তদশ লোকসভা ভোটের সপ্তমী। আর তারপরই আগামী ৫ বছরের জন্য আসমুদ্র হিমাচলের মানুষ কাকে বেছে নিল, তা জানা যাবে। অপেক্ষার ৪ জুন।


লোকসভা ভোটের শেষ দফার আগে, মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকায়স্থর সমর্থনে প্রচার করলেন মোদি। ১ মার্চ থেকে শুরু করে আজকের সভা নিয়ে বাংলায় ২৪টি নির্বাচনী সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ দফার ভোটের আগে কন্যাকুমারীতে ধ্যানমগ্ন হবেন প্রধানমন্ত্রী। আর তার আগে এটাই লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় মোদির শেষ সভা।  


প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা শুরু করলেন জনতা জনার্দনকে প্রণাম জানিয়ে । বললেন, 'এবারের ভোটে নেতা নয়, নেতৃত্ব দিচ্ছে জনতা'। ফের একবার বাংলার তৃণমূল সরকারকে লাগাতার আক্রমণ শানালেন। বললেন,'বাংলার পরিচয়কে ধ্বংস করছে তৃণমূল'। 


মিশনে হামলার প্রতিবাদ


মঙ্গলবারই কলকাতায় এসে বাগবাজারে মায়ের বাড়ি ও শিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দর বাড়িতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও ধ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।আর তারপর বুধবারে কাকদ্বীপে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারতসেবাশ্রম ইস্যুতে আক্রমণ করলেন। বললেন, 'সাধুসন্তদেরও ছাড়ছে না তৃণমূল। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকেও আক্রমণ করছে তৃণমূল। তৃণমূলের গুন্ডারা রামকৃষ্ণ মিশনেও হামলা চালাচ্ছে'।  

প্রসঙ্গ : OBC সার্টিফিকেট বাতিল


মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে সভা করতে গিয়ে ফের একবার মোদির বক্তব্যে উঠে এল OBC সার্টিফিকেট বাতিল প্রসঙ্গে। ২২ মে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে গেছে তৃণমূল জমানার সমস্ত OBC সার্টিফিকেট। এই রায়ের পরই বিচারব্যবস্থার একাংশকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা  নিয়ে ফের একবার সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, 'তোষণের জন্য দেশের সংবিধানের উপরেও হামলা করছে তৃণমূল। পিছিয়ে পড়া সমাজকে সংরক্ষণ দিয়েছে সংবিধান, কিন্তু তৃণমূল লুঠ করছে, মুসলমানদের বেআইনি ভাবে ওবিসি সংরক্ষণ দিয়েছে তৃণমূল'। মঙ্গলবারও মোদি প্রশ্ন তোলেন, এবার কি বিচারপতিদের পিছনেও নিজেদের গুন্ডাদের ছেড়ে দেবেন?  বুধে সিএএ  প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ' মতুয়াদের এখানে থাকতে দিতে চায় না তৃণমূল। তোষণের রাজনীতির জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের রাখতে চায়। ' ৪ তারিখের পর তৃণমূলের সব কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মোদি।  প্রত্যেক শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি সরকার, আশ্বাস তাঁর। 


'বিকশিত বাংলা'


বাংলা থেকে বেশি সংখ্যক বিজেপি সাংসদ চাই, ভোটের শেষ লগ্নেও আরও একবার বাংলার জনতার কাছে আবেদন তাঁর। তিনি বলেন, 'মানুষ গত ১০ বছরের উন্নয়ন দেখেছে এবং ৬০ বছরের বঞ্চনাও দেখেছে। পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। আজ গোটা বিশ্বে ভারতের পতাকা উড়ছে, আপনাদের একটা ভোটের জন্য। আমরা গত ১০ বছরে ৪ কোটি গরিব মানুষকে পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। ১২ কোটি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছি। বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে ভারত। বিকশিত ভারতের জন্য বিকশিত বাংলাকে প্রয়োজন। সেইজন্য  বিকশিত বাংলা গঠনের জন্য পূর্ণ শক্তিতে কাজ করার গ্যারান্টি দিচ্ছি' 


আর মাত্র এক দফা ভোট বাকি। আর ঠিক ৬ দিন পর ফল ঘোষণা। সাধারণ মানুষ কার স্লোগানে ভরসা রেখেছেন, সেটা বোঝা যাবে আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবারই।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে