শিয়ালদা : এসএফআইয়ের (SFI) মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার। হাওড়া, শিয়ালদায় (Sealdah) মিছিলের জন্য সমর্থকরা জড়ো হওয়ার পরই শুরু হয়ে যায় ব্যাপক ধরপাকড়। শিয়ালদা স্টেশনের বাইরে এসএফআই সমর্থকরা জড়ো হতেই তাঁদের পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। যেখানে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় স্লোগান ওঠে 'পুলিশ তোমার ডিএ বাকি, এই মিছিলে হাঁটবে নাকি'।


শিক্ষায় দুর্নীতি, রাজ্যের একাধিক সকুল বন্ধের এবং ছাত্র সংসদ ভোট ও আনিসকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI। পরীক্ষা থাকায় লালবাজার (Lalbazar) মিছিলের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু সিপিএমের ছাত্র সংগঠন অবস্থানে অনড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। যেখানে এসএফআই সমর্থকরা জড়ো হতেই কার্যত বেঁধে যায় তুলকালাম পরিস্থিতি। পুলিশের পক্ষ থেকে বারবারই মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছিল। সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Uchha Madhyamik Exam), তাই মিছিল করা যাবে না বলেও জানানো হচ্ছিল তাদের পক্ষ থেকে। যদিও এসএফআই সমর্থকরা ছিলেন মিছিলের দাবিতে অনড়। তাই তারা জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করার প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন। যে সময়ই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যা নিয়ে এসএফআই সমর্থকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ, মানুষের বক্তব্য রাখার সুযোগ কেড়ে নিতে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত গোটা পুলিশ প্রশাসনকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন।


মিছিলে না প্রসঙ্গে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেছিলেন, 'বিধানসভার অধিবেশন, দিন কমিয়ে দিচ্ছে, আলোচনা করতে দিচ্ছে না। শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। মন্ত্রীকে-চিঠি দিয়েছি। তা নিয়ে আপত্তি দেওয়ার কথা না। আমরা ছাত্রদের জন্য়ই ভাবছি। ওঁরা পড়ুয়াদের কথা ভাবেন না। আমরা ৩৬৫ দিন ভাবি। পরীক্ষার বিষয় দেখে নেওয়া হবে। মিছিল তো হবেই।' কিন্তু, লালবাজারের এই চিঠির পরও সিপিএমের ছাত্র সংগঠন বিধানসভা অভিযান কর্মসূচি থেকে পিছু হটতে নারাজ। শুক্রবার হাওড়া ও শিয়ালদা-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসএফআইয়ের মিছিল রওনা দেওয়ার কথা ছিল বিধানসভার উদ্দেশে। লালবাজার সূত্রের খবর, আপাতত যা পরিকল্পনা, সেই অনুযায়ী, হাওড়া ব্রিজ পেরোলেই, অ্যাপ্রোচ রোডে ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হবে এসএফআইয়ের মিছিল। শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে মিছিল আটকানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। ঠিক হয়েছে, ডোরিনা ক্রসিং-সহ বিভিন্ন জায়গায় থাকবে পুলিশ পিকেট। প্রতিটি জায়গায় দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ আধিকারিকরা।  


আরও পড়ুন -ধর্মঘটের বিরুদ্ধে আরও কড়া নবান্ন, সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে নয়া নির্দেশ