পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: সম্প্রতি কখনও ক্যানিং, কখনও কুলতলি, কখনও জয়নগরে হদিশ মিলেছে অস্ত্র কারখানার। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে এত অস্ত্র কারখানা (Illegal Arms Factory) চলছে কী করে? প্রাক্তন পুলিশ কর্তাদের (Ex Police Official) মতে, বেআইনি কারবার পুরোপুরি বন্ধ করতে পুলিশের নেটওয়ার্ক আরও জোরদার করতে হবে।


অস্ত্রের দাপাদাপি...
এবারের পঞ্চায়েত ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে অস্ত্রের দাপাদাপি। বোমা, গুলিতে ঝরে গেছে একাধিক প্রাণ! স্রেফ দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই গত কয়েক বছরে হদিশ মিলেছে একের পর এক অস্ত্র কারখানার! একটা সময়ে দেশি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির আঁতুড়ঘর হিসেবে উঠে আসত বিহারের মুঙ্গেরের কথা! কিন্তু, গত কয়েক বছরে সেরকম ছবি দেখা গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়! গত বুধবারও, জয়নগরে হদিশ মেলে অস্ত্র কারখানার। এর আগে, রবিবার, ভাঙড়ে হদিশ মেলে অস্ত্র ভাণ্ডারের! তার আগে কখনও বাসন্তী, কখনও কুলতলি, কখনও আবার ক্যানিংয়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া গেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বেআইনি অস্ত্র। কিন্তু, এত অস্ত্র কারখানা চলছে কী করে? প্রশাসন খবর পাচ্ছে না? নাকি খবর পেয়েও চোখ বুজে রয়েছে? তাঁদের মতে, এই ধরনের বেআইনি কারবার পুরোপুরি বন্ধ করতে পুলিশের নেটওয়ার্ক আরও জোরদার করতে হবে। প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক বিকাশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'নেটওয়ার্কের খবর ক্রিমিনালরা দিয়ে যাবে, এখন সবটা চেয়ারে বসে সিসিটিভি দেখা, মোবাইল দেখা চলে য়াচ্ছে, লোকাল সোর্স নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।' বারবার তল্লাশিতে বেআইনি অস্ত্রের কারবারের পর্দাফাঁস হলেও, তা বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।                      


দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ...
গত অগাস্টে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানা। ওই ঘটনায় একাধিক মানুষের মৃত্য়ুও হয়। এতটাই তীব্র ছিল বিস্ফোরণ যে তার অভিঘাতে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে একাধিক দেহ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে এগরার ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফেরাল দত্তপুকুর।                           


 


আরও পড়ুন:ঘটনাগুলো ঘটছে, কেন গজিয়ে উঠছে সেই সব কারণগুলো বলছে, সেটা দিও, আগে মুঙ্গেরে হত, এখন এরা শিখছে। চাহিদা বাড়ছে। আমাদের ফার্স্টট্র্যাক কোর্ট করতে হবে।