সুমন ঘড়াই, হাওড়া : রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতার (Kolkata) সংক্রমণ চিত্র উদ্বেগজনক হওয়ার পাশাপাশি ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের বাকি সব জেলাও (District)। এই অবস্থায় রাজ্যজুড়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষজন কোভিড আক্রান্ত হলে তাদের যাতে ঠিকমতো দেখভাল করা যায়, সেজন্য বাড়তি উদ্যোগ নিল নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যের প্রশাসনিক দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্ত গরিবদের (Covid affected poor people) বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে তাঁদের খাবার প্যাকেট (food packages) তুলে দেবে পুলিশ (Police)। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা কেউ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও যাতে অভুক্ত না থাকেন, সেই ব্যবস্থাই নিশ্চিত করতে চাওয়া হয়েছে। মুড়ি, চাল, ডাল ও বিস্কুট দিয়ে তৈরি হবে প্রত্যেকটি খাবারের প্যাকেট। যে মর্মে আপদকালীন ভিত্তিতে রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ব্যবস্থা গ্রহণের বার্তা দেওয়া হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে।
নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'রাজ্যে সম্প্রতি করোনার প্রকোপ বেড়েছে। তাতে রাজ্যজুড়ে একাধিক গরিব করোনা আক্রান্ত মানুষ পড়েছেন সমস্যায়। অনেকেই রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। এই অবস্থায় মুড়ি, চাল, ডাল ও বিস্কুট সহ খাবারের প্যাকেট তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এই মর্মে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সকল জেলাশাসককে জানানো হচ্ছে। খাবারের প্যাকেটগুলো পুলিশের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে। করোনা আক্রান্ত গরিবরাই শুধুমাত্র এই খাবারের প্যাকেট পাবেন।'
এদিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে কলকাতায় ফিরল মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন (Containment Zone)। কলকাতার মোট ২৫টি এলাকাকে চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে পুরসভা। ৪১টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন আছে হাওড়া জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুরের ১৮টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকায় গত তিনদিনে ৩০ জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ব্যারাকপুরে ১৭টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। যাঁদের বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের বাড়ির লোককে নিষেধ করা হয়েছে বাইরে বেরোতে।
আরও পড়ুন- রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ, কী কী বন্ধ, দেখে নিন এক ঝলকে