ডেবরা: হেফাজতে (Custodial death) থাকাকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় (Debra BJP Worker Death) বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ এনেছে পরিবার। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসকেএমে ময়না তদন্ত হচ্ছে ওই বিজেপি কর্মীর। হাইকোর্টের নির্দেশে ভিডিওগ্রাফিও করা হচ্ছে ময়নাতদন্তের। পুলিশের বিরুদ্ধে ফের চক্রান্তের অভিযোগ করল পরিবার। পুলিশের অত্যাচারে মৃত্যুর অভিযোগ এনে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃতের পরিজনেরা। মামলার প্রেক্ষিতে, ডেবরা থানা ও জেলের CC ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রেক্ষাপট...
হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও গত কাল কেন ডেবরার মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্ত হয়নি, এই নিয়ে একপ্রস্ত হইচই হয়। সূত্রের খবর, সঠিক সময়ে নথি জমা দিতে না পারাতেই ময়নাতদন্ত করা যায়নি গত কাল। একই সঙ্গে জানা যায়, আজ ময়নাতদন্ত হতে পারে। হাইকোর্টে নির্দেশে জানিয়েছিল, জেলের পাশাপাশি থানার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম সঞ্জয় বেরা বলে জানা যায়। সঞ্জয়ের পরিবারের দাবি, পুলিশের মারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। পরিবারের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারির সময় দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এসএসকেএমে বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত ও ভিডিওগ্রাফি করার দাবি করেন সঞ্জয়ের পরিবার। যদিও পুলিশ জানিয়েছিল, পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে মারা যান সঞ্জয়। কোর্ট থেকে জেলে ফেরার সময় সঞ্জয় বেরা পড়ে যান, দাবি রাজ্য সরকারের। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর হাসপাতালে, দাবি রাজ্যের। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক।
এই ঘটনা নিয়ে কয়েকদিন আগেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, 'গত ৪ জুন তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাসিন্দা সঞ্জয় বেরাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এরপর ১১ জুন মেদিনীপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরিয়ে আনা হয়। ফের তাঁকে পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।' শুভেন্দুর মতে, পুলিশ ওই ব্যক্তির পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতের কথা বললেও বিচারবিভাগীয় তদন্ত বা সিবিআই তদন্তেই প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হতে পারে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ভূপতিনগরেও ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীর বাবাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের পর খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন:দাঁইহাট পুরপ্রধানের অপসারণ দাবি, ফিরহাদকে চিঠি তৃণমূলেরই ১১ জন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরের