প্রকাশ সিনহা ও প্রদ্যোত্ সরকার, কৃষ্ণনগর: রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় চতুর্থ চার্জশিট জমা দিল সিবিআই।
কৃষ্ণনগরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় আদালতে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৫ জনের। তাঁদের মধ্যে, ১২ জন বর্তমানে জেলবন্দি।
বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর এক মাস পর, খুন হন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল। গত ১৪ জুন, কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা মণীন্দ্র পল্লিতে বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে প্রথমে কুপিয়ে, পরে গুলি করে খুন করা হয় বিজেপি কর্মীকে।
অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে নেমে, ২৭ অগাস্ট কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা মণীন্দ্র পল্লিতে, নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যায় সিবিআই।
সেই ঘটনাতেই শুক্রবার কৃষ্ণনগর আদালতে চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৫ জনের। তাঁদের মধ্যে, ১২ জন বর্তমানে জেলবন্দি। খুনের ঘটনায় আগেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়।
গতকালই, রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় তৃতীয় চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। বীরভূমের কাঁকড়তলায় বিজেপির বুথ সভাপতি খুনের ঘটনায়, দুবরাজপুর আদালতে চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিত্ সরকারের মৃত্যু-তদন্তে পুলিশ অফিসারকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এদিন নারকেলডাঙা থানার সাব ইন্সপেক্টর রত্না সরকারকে দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়।
অভিজিত্ সরকারের মৃত্যু-তদন্তে তদন্তকারী দলের সদস্য ছিলেন নারকেলডাঙা থানার এসআই রত্না সরকার। তাঁর বয়ান গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে মাথাভাঙা জেলে গেল সিবিআই দল। প্রায় তিন ঘণ্টা জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয় তদন্তকারীদের।