সোমনাথ দাস, ঘাটাল: আবাস-যোজনায় জেঠতুতো ভাইয়ের কাটমানি-অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ দেবের জবাব চাইল বিজেপি। ঘাটাল জুড়ে সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্টার ও দেওয়াল লিখন কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
দেবের বিরুদ্ধে পোস্টার: প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সাংসদের ভাইকে কাটমানি দিতে হলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা? ঘাটালের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে দেওয়াল লিখছেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। এই ইস্যুতে দেবের পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি। দেবের ভাই বিক্রম অধিকারী কেশপুরের বাসিন্দা। আবাসে কাটমানি-বিতর্কে কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী শিউলি সাহারও পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি।পাল্টা মন্ত্রীর দাবি, দেবের ভাই সাংসদের নামে আগেও উল্টোপাল্টা কথা বলেছেন। ওঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। একইসঙ্গে পোস্টার-বিতর্কে বিজেপির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিউলি সাহা।
এ যেন দারোগার ঘরেই সিঁধেলের হানা। কাটমানি-ভাইরাসের থাবা খোদ তৃণমূল সাংসদের পরিবারেই? পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে হইচই ফেলে দিয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবের জেঠতুতো ভাই বিক্রম অধিকারী। কেশপুরের মহিষদা গ্রামের স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধেই তাঁর অভিযোগ। বিক্রম অধিকারীর অভিযোগ, “টাকা নিয়েছে ওরা। বাড়ি করে দেবে বলেছে। আমাদের এখানে পার্টির নেতারা যারা ছিল। অরুণ রায়রা ছিল। পিণ্টু চক্রবর্তীরা।ওরা সব পার্টির নেতা ছিল। এখন তো আর কোনও উত্তরও দেয়নি, কিছুই না। পার্টিতে তারা আসেও না। নতুন নতুন পার্টির সব নেতা হয়েছে। বাড়ি ভেঙে যাচ্ছে। জল ঢুকছে বাড়িতে। বৃষ্টি হলেই জল পড়ছে। গোটা ছাদ ত্রিপল ঢাকা দেওয়া আছে।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে বিক্রম অধিকারীর অভিযোগকে সামনে রেখে বিজেপি সরাসরি নিশানা করছে তৃণমূল সাংসদ দেবকে। বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দেবের ভাই বলে দিয়েছে সত্যি কথাটা। যারা ঘাটাল লোকসভার বড় বড় নেতা, তারাই বলছেন যে আমাদের সাংসদ দীপক অধিকারী, তিনি ৩০ শতাংশ কাটমানি নেওয়ার একটা রেট ফিক্সড করে দিয়েছেন। দেবের ভাই বিক্রম অধিকারী, তিনি যে কাটমানি দিয়েছেন, তার ৩০ শতাংশ দেবের ঘরে গেছে।