মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: জয়েন্ট বিডিওর নাম করে চাকরির টোপ! সাইবার প্রতারণার কবলে আশা কর্মীর ছেলে, তদন্তে পুলিশ। বিডিও অফিসে রয়েছে শূন্যপদ! জয়েন্ট বিডিওর নাম করে আশা কর্মীকে ফোন। পরীক্ষার ফি আর থাকার দরুণ ধাপে ধাপে নেওয়া হল টাকা। কাজের বিষয়  বুঝে নেওয়ার জন্য ডাকা হল বিডিও অফিসেও। পরে বুঝতে পারল তাঁরা পড়েছে প্রতারণার কবলে ! এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া এলাকায়। তদন্তে কাঁকসা থানার পুলিশ।


অভিযোগ, গতবছর ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখ তেলিপাড়া এলাকার আশা কর্মী শম্পা সাহার ফোনে কাঁকসার জয়েন্ট বিডিওর নাম করে একটি ফোন আসে। বলা হয় এলাকার দুঃস্থ ছেলে মেয়ে থাকলে যোগাযোগ করতে বলুন। খবর পেয়ে এলাকারই আরেক আশা কর্মী বর্ণালী রায় গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে জিষ্ণু গঙ্গোপাধ্যায় ফোন করে। তাঁকে বলা হয় ব্লক অফিসে কাজের জন্য শিলিগুড়িতে একটি পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার ফি বাবদ ৩০০০ টাকা প্রথমে নেওয়া হয়। তারপরেই সেখানে ট্রেনিং এর জন্য থাকার খরচ হিসেবে আরও তিন হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে আরও একটি ব্যাঙ্কে চাকরির কথা বলে ফর্ম ফিলাপের জন্য তিন হাজার টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়। তখন তার মনে সন্দেহ হওয়ায় আর টাকা সে দেয়নি। আবার কিছুক্ষণ পর ফোন করে বলা হয় নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের দু'তারিখ সকালে বিডিও অফিসে গিয়ে কাজের বিষয় জেনে নেওয়ার কথা। তার কিছুক্ষণ পর আবার জানানো হয় বিডিও অফিসে দুপুরে যাওয়ার জন্য। পরে তারা বুঝতে পারে জয়েন্ট বিডিওর নাম করে টাকা হাতিয়ে সাইবার প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়েছে।


আরও পড়ুন, 'ইতালি থেকে কেউ বাংলাদেশ যেতে চাইলে..',পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য ! বিক্ষোভ কংগ্রেসের


আশা কর্মী বর্ণালী রায় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,"আমার সহকর্মী শম্পা সাহা প্রথমে আমাকে ফোন করে। বিডিও অফিসে শূন্য পদ রয়েছে বলে তাকে জয়েন্ট বিডিও ফোন করেছেন। তোমার ছেলে কী কাজ করতে ইচ্ছুক হলে নাম্বারটি দিয়ে দাও। সে ছেলেকে নাম্বারটি দেয়। ছেলে ফোন করে তার সাথে কথা বলে। তারপরেই ধাপে ধাপে ৬০০০ টাকা দেয়। পরে শম্পা আমাকে জানায় এটা প্রতারণা হয়েছে। আমরা কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অল্প টাকার বেতনে আশা কর্মীর কাজ করি। তারপরেও এই টাকা চলে যাওয়ায় আমি আতঙ্কে। বিষয়টি নিয়ে কাঁকসা থানায় অভিযোগ করেছি।" কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল বলেন,"মানুষকে সচেতন হতে হবে। কোন সরকারি আধিকারিকের নাম করেও যদি কেউ টাকা চায় তাকে দেবেন না। প্রয়োজন হলে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করুন। এই ঘটনাও খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।"