রুমা পাল ও সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বাংলার। এরইমধ্য়ে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় লোডশেডিং। যার জেরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। এই পরিস্থিতিতে CESC-র সঙ্গে মিটিং করলেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী। বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এদিকে, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কন্ট্রোলরুম চালু করল WBSEDCL।
বৈঠক, বার্তা, কন্ট্রোল রুম
লোডশেডিং ভোগান্তির মধ্য়েই মঙ্গলবার CESC-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে, CESC-কে বিদ্য়ুৎমন্ত্রীর নির্দেশ, পর্যাপ্ত ট্রান্সফর্মারের (Transformer) ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডি জি সেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সর্বত্র সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রস্তুত রাখতে হবে।
পাশাপাশি কোথাও বিদ্য়ুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত কোনও সমস্য়া হলে, তা জানানোর জন্য় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (Control Room) চালু করেছে WBSEDCL। কন্ট্রোল রুমের দুটি নম্বর 89007 93503 ও 89007 93504।
চরম লোডশেডিং, বিক্ষোভ
ফ্য়ান ছাড়া যেখানে এক সেকেন্ডও থাকা যাচ্ছে না, সেখানে শহর থেকে গ্রাম, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গত ৩-৪ দিন ধরে শুরু হয়েছে চরম বিদ্য়ুৎ ভোগান্তি। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। খাস কলকাতার বেলেঘাটা থেকে হরিদেবপুর, যোধপুর পার্ক থেকে পূর্বাচল, জ্বালাপোড়া গরমের মধ্যেই একাধিক জায়গায় দেখা যায় লোডশেডিং।
এদিকে, বেলেঘাটায় একে লোডশেডিং। তার ওপর আবার রবিবার সকালে একটি ট্রান্সফর্মারে আগুন লাগে। ফলে, দুর্ভোগ চরমে ওঠে। একটা জেনারেটর এনে অবস্থার সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে, লোডশেডিংয়ে হয়রানি-ভোগান্তির জেরে, মঙ্গলবার সকালে বেলেঘাটার আলোছায়া-মোড়ের কাছে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই ছবি দেখা যায় হরিদেবপুরেও। প্রতিবাদে হরিদেবপুর পোস্ট অফিসের সামনে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী। তাঁর আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। স্থানীয়দের দাবি, জেনারেটর পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন- 'বাংলার গর্ব অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়' ধন্যবাদ জানিয়ে ছবি সহ পড়ল পোস্টার