সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) দাসপুরেও আবাস-বিক্ষোভ (Pradhan Mantri Awas Yojana)। মাটির বাড়ির বাসিন্দাদের তালিকায় নাম নেই, অথচ তালিকায় আছেন পাকা বাড়ির মালিকরা, এই অভিযোগে গতকাল দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নন্দনপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মা গ্রামে আশা কর্মীদের ঘিরে চলল বিক্ষোভ। এর আগে সমীক্ষা করা সত্ত্বেও আবাস-তালিকায় নাম নেই কেন, প্রশ্নের মুখে পড়েন আশা কর্মীরা। আবাস-তালিকায় স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগে একযোগে সরব হয়েছে বাম-বিজেপি। দাসপুরের বিডিও অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।


এই বিষয়ে দাসপুরের সিপিআইএম নেতা রাধেশ্যাম দোলই বলেন, ''যারা বাড়ি পাবার  যোগ্য তারা পাচ্ছেনা, যারা পাওয়ার যোগ্য নয় তারা পাচ্ছে বাড়ি।'' আবাস নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। এলাকার বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরা ও একই অভিযোগ করলেন। 


আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের এক ছবি ধরা পড়েছিল সম্প্রতি কোচবিহারে। কোচবিহারের মাথাভাঙায় আবাস প্রকল্পের সমীক্ষা করতে গিয়ে তৃণমূল নেতার রোষের মুখে পড়েছিলেন সরকারি অফিসার। সমীক্ষা নিয়ে নির্দেশ অমান্য, চেয়ার ছুড়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল রুইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মণিরুল হকের বিরুদ্ধে। হামলার ছবি ভাইরাল। 


রুইডাঙা এলাকায় সমীক্ষার কাজে যান ভূমি ও রাজস্ব বিভাগের আধিকারিক। অভিযোগ, তাঁকে ফোন করে অন্য এলাকায় সমীক্ষায় যাওয়ার নির্দেশ দেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। সরকারি অফিসার নির্দেশ অগ্রাহ্য করায় তাঁকে মারার জন্য চেয়ার ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা। 


এরপর ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে আটক করে। যদিও রাত পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। প্রশাসনকে কাজ করতে দিতে হবে, দল হস্তক্ষেপ করবে না, সাফাই তৃণমূল নেতৃত্বের। 


কোটিপতি পানের ব্যবসায়ীর নাম উঠেছে আবাস যোজনার তালিকায়। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে তালিকা নিয়ে শুরু শোরগোল। তদন্তে নেমে নাম কেটে দিলেন জেলাশাসক। অভিযুক্ত পরিবারের দাবি, আগে অবস্থা ছিল নুন আনতে পান্তা ফুরনো, এখন ভাল চলছে ব্যবসা। তাই তৈরি হয়েছে পাকাবাড়ি। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


সরকারি আবাস প্রকল্পের সুবিধা পেতে দিতে হবে টাকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে বিডিও অফিসের কর্মীর টাকা চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হল। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত বিডিও অফিসের কর্মীকে কাছে পেয়ে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এ নিয়ে স্থানীয় বিডিও-র কাছে দায়ের হয়েছে অভিযোগ।