আশাবুল হোসেন, সন্দীপ সরকার ও সমীরণ পাল, কলকাতা: দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। প্রথমদিনই তাঁকে নাগরিক সম্বর্ধনা (Felicitaion Program) জানানো হল। এদিন এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবন ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ঘুরে দেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী কাল বেলুড় মঠ ঘুরে শান্তিনিকেতন যাওয়ার কথা তাঁর।
সফরের প্রথম পর্ব...
রাষ্ট্রপতির হওয়ার পর প্রথম বার রাজ্যে এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর এবারই "জয় হিন্দ, জয় বাংলা" স্লোগান শোনা গেল তাঁর মুখে। এদিন তাঁকে সংবর্ধনা দিতে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্জি জানান, 'আমি ওঁকে বলব, সংবিধান রক্ষা করুন। আমাদের দেশে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য়, তা রক্ষা করুন।' সোমবারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাতে ডোকরার দুর্গামূর্তি তুলে দেন মুখ্য়মন্ত্রী। তাঁর সামনে সাঁওতালি নৃত্য়ের ছন্দে পা-ও মেলান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদাও। নাচ দেখে একসময়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে হাততালি দিয়ে ওঠেন রাষ্ট্রপতি ও রাজ্য়পাল। মুখ্য়মন্ত্রীর প্রশংসা করেন দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন তাঁর হাতে, একে একে স্মারক তুলে দেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠানে, মুখ্য়মন্ত্রী-রাজ্য়পাল ছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিধানসভার স্পিকার, কলকাতার মেয়র। অনুষ্ঠানে অংশ নেয় কলকাতার ৩ বড় ফুটবল দল, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান ক্লাবের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতিরা। তাঁদের সামনেই রাষ্ট্রপতি বলেন, 'দেশের স্বাধীনতায় বাঙালি মনীষীদের অবদান ভোলার নয়। এত প্রতিভার জন্ম হয়েছে... নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে মাতঙ্গিনী হাজরা। এই মাটি উৎকৃষ্ট মাটি।' শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের কথাও বলেন তিনি। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত হতেই রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান রাজ্য়পাল। সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। এরপর বিমানবন্দর থেকেই রেসকোর্সের উদ্দেশে রওনা দেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান মুখ্য়মন্ত্রী। সোমবার দিনভর কর্মসূচি ছিল রাষ্ট্রপতির। দুপুর ১ টা নাগাদ এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাসভবনে যান দ্রৌপদী মুর্মু। ঘুরে দেখেন সংগ্রহশালা। যে ঘরে নেতাজি থাকতেন, যে গাড়ি করে বাড়ি ছেড়েছিলেন, সে সবই ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেও যান রাষ্ট্রপতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্য়বহৃত আসবাবপত্র, সরঞ্জাম,এক কথায় ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল ঘুরে দেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। শেষে সোমবার রাতে রাজভবনে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষকে ১০ লক্ষ, রাজ্য পুলিশে ৮ লক্ষ, চাকরির রেট চার্ট নীলাদ্রিদের