আবীর দত্ত, কলকাতা: করোনাকালে (Coronavirus) ঊর্ধ্বমুখী ওষুধের দাম (Medicine Price Hike)। বাড়ছে হার্ট, ফুসফুস ও ডায়াবিটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম। এভাবে উত্তরোত্তর ওষুধের দাম বৃদ্ধির জেরে চিন্তা বেড়েছে সাধারণ মানুষের।
বাড়ছে করোনার দাপট। সেই সঙ্গে পাল্টা দিয়ে বাড়ছে ওষুধের দামও।হার্ট, ফুসফুস ও ডায়াবিটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম অনেকটাই বেড়েছে। ওষুধের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বাক্স এক। ওষুধও এক। কিন্তু, দাম অনেকটাই বেড়েছে। তাও মাত্র ৯০ দিনের ব্যবধানে। ভিটামিনের অসুধ হোক...কিংবা করোনা সেরে যাওয়ার পর, ব্যবহৃত লিভারের ওষুধ।দাম হু হু করে বাড়ছে।মাত্র দু-তিন মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের।
দু’মাস আগে, Neuropathic ভিটামিনটির দাম ছিল ১৯৪ টাকা।এখন সেই ওষুধের দাম ২০৯ টাকা।শ্বাসকষ্টের জন্য দেওয়া হয় রোটাক্যাপ্স।বর্তমানে এই ওষুধের দাম ৭১৫ টাকা।আগে এই ওষুধের দাম ছিল ৪৭৮ টাকা।
সর্দির জন্য রেসওয়াস সিরাপ দেওয়া হয়।২ মাসে, ২০ টাকা দাম বেড়েছে এই সিরাপের।মাস ছয়েকে ১০০ টাকা দাম বেড়েছে সেরোফ্লো 250 ইনহেলারের।
সুগারের অসুধ লিনাগলিপ্টিন।দু’মাস আগে এই ওষুধের দাম ছিল ৪৮০ টাকা
বর্তমানে, এই ওষুধের দাম ৫২০ টাকা। ওষুধের দোকানের এক মালিক বলেছেন,শোনা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে আবার বাড়বে।
ওষুধের দাম-বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের পকেটে।এমনই একজনের গলায় ঝরে পড়েছে অসহায়তা। তিনি বললেন, মাসে ৮-৯ হাজার করে অসুধ কিনতে হয়। যেটা আগে পাঁচ- সাড়ে পাঁচ হাজারে হয়ে যেত। কিভাবে চালাবো স্বল্প আয়ে বুঝতে পারছি না। ওষুধ তো লাগবে।
উত্তরোত্তর ওষুধের দামবৃদ্ধির জেরে স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
করোনাকালে এমনিতেই অনেকেরই রুটি-রুজিতে টান পড়েছে। কমেছে রোজগার। অনেকেই হারিয়েছেন কর্মসংস্থান। একের পর এক ঢেউয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। এরইমধ্যে ওষুধের দাম বাড়ায় তা গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো হয়ে উঠেছে।