সৌভিক মজুমজার, কলকাতা: ২০২২-এর প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় নতুন নির্দেশ হাইকোর্টের। প্রাথমিক নিয়োগে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।


কী নির্দেশ বিচারপতির?
এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, 'প্রথম মেধাতালিকার পর আলাদা করে আরও একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। ১২ জন মামলাকারীর জন্য প্রকাশ করতে হবে আলাদা মেধাতালিকা।' এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০২২-এর মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। তারপরেই ১২ জন আলাদা করে মামলা দায়ের করে হাইকোর্টে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। 


এই ১২ জনের মধ্যে ৪ জনের বিএড ও ডিএলএড উভয় ডিগ্রি রয়েছে। ২০২২-এ নিয়োগের ফর্ম ফিলআপের সময় তাঁরা বিএড-কেই তাঁদের মূল ডিগ্রি বলে জানায়। কিন্তু পরে সুপ্রিম কোর্ট জানায় প্রাথমিকে বিএড বৈধ ডিগ্রি নয়। বাকি ৮ জন ২টি ডিএলএড ডিগ্রিধারী, যার একটি মুক্ত বিদ্যালয়ের এবং পর্ষদ স্বীকৃত। ওই ৮ চাকরিপ্রার্থী মুক্ত বিদ্যালয়ের ডিএলএড-এ প্রাপ্ত নম্বরকেই তাঁদের যোগ্যতামান বলে জানান। সুপ্রিম কোর্ট মুক্ত বিদ্যালয়ের ডিগ্রিও বৈধ নয় বলে জানায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তথ্য পরিবর্তনের সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।


৩১ জানুয়ারি মেধাতালিকা প্রকাশের পর আদালতের দ্বারস্থ হন ১২ চাকরিপ্রার্থী। 'পর্ষদকে অনেক বাধা পেরোতে হচ্ছে এটা ঠিক, কিন্তু নাগরিকের অধিকার খর্ব করা যায় না', আলাদা মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়ে মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।


এর আগে:
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি প্যানেল প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেখানে চাকরিপ্রার্থীর নামের সঙ্গে নম্বরের ব্রেকআপ প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের সময় শূন্যপদ ছিল ১১,৭৫৮। তার মধ্যে থেকেই ৯ হাজার ৫৩৩ জনকে দেওয়া হবে নিয়োগপত্র। এর আগে নম্বর ব্রেকআপ নিয়ে পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল গতকাল জানিয়েছিলেন, "একজন প্রার্থী ইন্টারভিউ, অ্যাপটিচিউড টেস্ট, টেট, ডিএলএড ট্রেনিং, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকে কত নম্বর পেয়েছেন সব আলাদা করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।'' যদিও বাকি ২ হাজারের বেশি নিয়োগপত্র এখন দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। গৌতম পাল বলে, “২২২৫ জন বাকি থাকছেন। সেটা এখন নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এখন যে নিয়োগগুলি হবে তা Subject to the outcome of the present petitions-সুপ্রিম কোর্টের। এরপরে সুপ্রিম কোর্টে যে শুনানি হবে, ২০২০-২২ ডিএলএড ব্যাচের। তার প্রেক্ষিতে রায় বেরোলে তখন এই ২২২৫ জনকে নিয়োগপত্র দিতে পারব।’’


আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় বাতিল ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র