সনৎ ঝা, দার্জিলিং: ফের সড়ক দুর্ঘটনায় (road accident takes life) প্রাণহানি, এবার সেবক সংলগ্ন সাত মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কোনওমতে প্রাণ বাঁচান দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি গাড়ির চালক (driver gets saved)। তবে বেশ কিছুটা জখম হয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন যাত্রীবাহী একটি ছোট চারচাকা গাড়ির সঙ্গে আর একটি ছোট মালবাহী গাড়ির সংঘর্ষ হয় সেবক সংলগ্ন সাত মাইল এলাকায়। যাত্রীবাহী গাড়িটিতে সম্ভবত সিকিমের নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। তবে দুর্ঘটনা সত্ত্বেও কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন সিকিম থেকে আসা গাড়িচালক। জানা গিয়েছে, সিকিমের নম্বর প্লেটের গাড়িটি শিলিগুড়ির উদ্দেশে আসছিল। গাড়িটিতে চারজন ছিলেন। উল্টো দিক থেকে আসা মালবাহী গাড়িটি আবার শিলিগুড়ি থেকে রওনা দেয়। মাঝ রাস্তায় সাত মাইল এলাকায় দুটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। দূর্ঘটনার জেরে গাড়ি দুটি জঙ্গলে ছিটকে পড়ে। ঘটনার জেরে সেখানেই একজনের মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতরা অরুণ ছেত্রী, বিকাশ গুপ্তা, বিকাশ গুপ্তা, সাগর তামাং এবং বিনোদ রাই। অরুণের ঠিকানা জানা না গেলেও বাকিরা গ্যাংটকের বাসিন্দা বলেই খবর মিলেছে।
গুলি চলল নদিয়ায়...
ঘটনাচক্রে মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচলকে কেন্দ্র করে এদিনই আবার নদিয়ার চাকদায় গুলি চলেছে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের ধস্তাধস্তিতে আহত হন এক ব্যক্তি। তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় গতকাল গভীর রাতে উত্তেজনা ছড়ায় চাকদার বিষ্ণুপুর পদ্মভিলা গ্রামে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচল করায়, চাকদা-বনগাঁ রোডে প্রচুর ধুলো ওড়ে। রাস্তাও খারাপ হচ্ছে। প্রতিবাদে গতকাল মাটি বোঝাই গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযোগ, এরপরই গ্রামবাসীদের ভয় দেখাতে দুষ্কৃতীরা শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে চাকদা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূূলের প্রধানের অভিযোগ, মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচল নিয়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর ও থানায় বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।