পটনা : সোমবার সকালে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর (  Bihar Chief Minister Rabri Devi's residence ) বাড়িতে পৌঁছেছে সিবিআই টিম ( CBI ) । ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত থেকে লালু প্রসাদ যাদব, রাবড়ি দেবী এবং কন্যা মিসাকে সমন জারি করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের চার্জশিটে আদালত ১৫ মার্চ হাজিরার দিন দিয়েছিল। কিন্তু তার  আগেই রাবড়ির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই দল। আজ কোন মামলায় সিবিআই টিম এসেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাবড়ি দেবীর বাসভবনে উপস্থিত আছেন  বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 
রবিবারই কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া বিরোধী দলগুলির চিঠিতে নাম ছিল তেজস্বীর


গত ২৭ ফেব্রুয়ারি,  জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী-সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত।  আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে লালুদের জবাব তলব করা হয় ওই সমনে।


সূত্রের খবর, সিবিআই অফিসাররা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি) কেলেঙ্কারির মামলায় রাবড়ি দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯  সালে, যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব, তখনই বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ-ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শুধু লালুপ্রসাদই নয়, নাম জড়িয়েছে স্ত্রী রাবড়ি দেবীর। অভিযোগের আঙুল লালুর দুই মেয়ে মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধেও। এই ঘটনার তদন্তে গত বছর সারা দেশে বেশ কয়েকটি জায়গায়  তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। 


২০২২ সালের জুলাই মাসে, সিবিআই ভোলা যাদবকে গ্রেফতার করে এই মামলায়। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালু প্রসাদের বিশেষ দায়িত্বের অধিকর্তা (officer on special duty) ছিলেন তিনি। ১৬ জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ১০ অক্টোবর চার্জশিট দাখিল করা হয়। চূড়ান্ত  রিপোর্টে লালুপ্রসাদের মেয়ে মিসা ভারতী, সেন্ট্রাল রেলওয়ের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সৌম্য রাঘবন, প্রাক্তন সিপিও রেলওয়ে কমল দীপ মাইনরাই, বিকল্প হিসাবে নিযুক্ত সাতজন প্রার্থী এবং আরও  চারজনের নামও রয়েছে ৷ চার্জশিট অনুসারে, লালুপ্রসাদ এবং অন্যদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল অনুসারে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। 


সিবিআইয়ের তরফে দাবি  ছিল,  লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় অযোগ্য প্রার্থীদের  মুম্বই, জবলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দিতে তাঁদের কাছ থেকে  জমি, টাকা ইত্যাদি নিয়েছিল লালুপ্রসাদের পরিবার।