হাওড়া: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হল বেসরকারি হাসপাতাল। ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে উলুবেড়িয়ার সঞ্জীবন হাসপাতাল। ‘স্বাস্থ্যসাথী স্কিমে ৬৪ কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে রাজ্য। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চলেছে হাসপাতালে, প্রায় ৬ হাজার করোনা আক্রান্তর চিকিৎসা হয়েছে হাসপাতালে, সিংহভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ। এই মামলায় রাজ্য সরকারকে ৭ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, ২১ দিন হয়ে গেলেও জমা পড়েনি হলফনামা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। কেঁচো খুড়তে একেবারে কেউটে। অসুস্থ সাজিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তিতে অভিযুক্ত একটি নার্সিংহোমের ছিল না লাইসেন্স। বাঁকুড়ার ওই নার্সিংহোম বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। অপর দুই নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি নিতে পারবে না।
সুস্থকে অসুস্থ সাজিয়ে নার্সিংহোমে রেখে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থেকে তুলে নেওয়া হত হাজার হাজার টাকা। বাঁকুড়ার ওন্দা ও সোনামুখীর তিন নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে উঠেছিল এমনই গুরুতর অভিযোগ। তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ অবস্থা প্রশাসনের। গত তিন সপ্তাহ ধরে লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল ওন্দার মা আনন্দময়ী নার্সিংহোম।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সেই নার্সিংহোম বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। সোনামুখীর যে দুই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল, তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে ভর্তি নিতে পারবে না তারা। বাঁকুড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত কমিটি গঠন করি। রিপোর্টও হাতে চলে এসেছে, নার্সিংহোমের এখন নবীকরণ করেনি লাইসেন্স, আইনত ব্যবস্থা নেব। প্রশাসনিক পদক্ষেপের পর অদ্ভুত সাফাই অভিযুক্ত নার্সিংহোমগুলির। মা আনন্দময়ী নার্সিংহোমের কর্মী সঞ্জু আদকের দাবি, ১৫-২০ দিন রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ।
আরও পড়ুন: Arms Factory Recovered: বাড়িতে সুড়ঙ্গ কেটে অস্ত্র কারখানা! আসানসোলে চাঞ্চল্য
আরও পড়ুন: RG Kar: আরজি করের ছাত্রদের অনশন প্রত্যাহারে অনুরোধ, ইন্টার্নদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের