হাওড়া: পথ অবরোধ, হিংসা বরদাস্ত করবেন না বলে একদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন (Prophet Remarks Protest)। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হুশিয়ারির পরও পয়গম্বর বিতর্ক ঘিরে বিক্ষোভের আঁচ নিভছে না। বরং শুক্রবার তা আরও বড় আকার ধারণ করল হাওড়ায়। এ দিন দিন ভর দফায় দফায় বিক্ষোভ, অবরোধ, হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে সেখান থেকে। অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের ঘটনাও সামনে এসেছে। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গেও খণ্ডযুদ্ধও বেধেছে আন্দোলনকারীদের। 


বিক্ষোভ চরমে হাওড়ায়


দিল্লিতে কেউ বিতর্কিত মন্তব্য করলে, তার আঁচ বাংলায় কেন পড়বে, বিজেপি-র দায়িত্বজ্ঞানহীনতার দায় কেন সাধারণ মানুষ বইবেন, তা নিয়ে গতকালই বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু এ দিন হাওড়ার দুই জায়গায় বিজেপি-র দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। উলুবেড়িয়া এবং পাঁচলায় বিজেপি-র দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। আবার ওই পাঁচলাতেই রঘুদেবপুরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। 


আরও পড়ুন: Park Circus Shooting: 'হাসিমুখে বেরিয়েছিলেন, সন্ধেয় বিয়ের দিন ক্ষণ পাকা হওয়ার কথা ছিল', পার্ক সার্কাসে রিমার রক্তাক্ত দেহই সব শেষ করে দিল


এ ছাড়াও, উলুবেড়িয়ার নরেন্দ্র মোড়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হয়েছে পুলিশের একাধিক গাড়ি এবং কিয়স্ক। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টিও। কোথাও কোথাও আবার পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিক্ষোভকারীদের। গতকাল যে ডোমজুড়ে জাতীয় সড়ক অভরোধ করা হয়, এ দিন ডোমজুড় থানায় হামলা চালানো হয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। সেই   অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ (Howrah News)। 


দিনভর অশান্তি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ


দিল্লির প্রাক্তন বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা সম্প্রতি পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলায় তার সূচনা ঘটে হাওড়ার হাত ধরেই। গতকাল ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। বিক্ষোভ দেখানো হয় টায়ার জ্বালিয়ে। তীব্র গরমে, প্রায় দমবন্ধ অবস্থায় গাড়িতে, বাসে আটকে ছিলেন সাধারণ মানুষ। শেষমেশ রাতে অবরোধ উঠে যায়। তার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু এ দিন পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে।