হিন্দোল দে ও জয়ন্ত পাল, কেষ্টপুর: বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করাতেই বিপত্তি, মা-মেয়েকে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কেষ্টপুরে।  তৃণমূল কাউন্সিলরের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ানোরও অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মা-মেয়েকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার অভিযোগ জানাতে বাগুইআটি থানার দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা, দাবি অভিযোগকারী মা-মেয়ের। অন্যদিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'রাখি পূর্ণিমার পবিত্র দিনে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না'। বলেই চেয়ার ছেড়ে উঠে চলে যান অভিযুক্ত কাউন্সিলর। বাগুইআটি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া। 


বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় কেষ্টপুরে মা-মেয়েকে হেনস্থা ও কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। মুখ লুকোতে রাখি পূর্ণিমার দোহাই অভিযুক্ত কাউন্সিলরের। অভিযোগ আসলে খতিয়ে দেখার আশ্বাস বাগুইআটি থানার IC-র।


অভিযোগকারিণী বলছেন, 'এমন কেউ ছিল না যে ওখানে আমার গায়ে হাত দেয়নি। আমার চুল ধরে টানেনি এবং আমার মায়ের গায়েও হাত দেওয়া হয়েছে'। অভিযোগকারিণী আরও বলছেন, ওকে মেরে পুরো কালশিটে পুরো সারা শরীরে পুরো দাগ করে দিয়েছে আমার মেয়েকে। বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করেছিলেন। অভিযোগ, তার জন্য কপালে জুটেছে বেধড়ক মারধর। এমনকী তৃণমূল কাউন্সিলরের পা ধরে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। 


মেয়ে বলছেন, 'আমাকে আর মাকে হাত ধরে টেনে মন্দিরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। চুলের মুটি ধরে কাউন্সিলরের পায়ের কাছে নিয়ে গিয়ে বলে ওনার পা ধরে ক্ষমা চাও। প্রমোটারদের ডাকা হয়। আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, গায়েব করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। 


অভিযোগ, ২০২২ সালের মে মাতে, কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কাননে এই বেআইনি নির্মাণটি শুরু হয়। এর, প্রতিবাদ করেন প্রতিবেশী মা এবং মেয়ে। প্রথমে অভিযোগ করা হয়, বিধাননগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আশুতোষ নন্দীকে। পুলিশেও অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ, কোনও সুরানা না হওয়ায় এরপর, বিধাননগর পুরসভা, এক ডাকে অভিষেক, দিদিকে বলো, জেলা শাসক, রাজ্য পুলিশের ডিডির কাছে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ, এরপরই  ৩ মার্চ স্থানীয় মন্দির কমিটির অফিসে তাঁদের ডেকে পাঠান তৃণমূবল কাউন্সিলর আশুতোষ নন্দী। সেখানেই তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়। 


তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, চেয়ার ছেড়ে উঠে যান অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর। বিধাননগর পুরসভার মেয়র, কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলছেন, আমরা যদি জানতে পারি, আমাদের কাছে যদি তথ্য সমেত কেউ জমা দেয়, আমরা যথাযত ব্যবস্থা করব। কোথাও যদি আমরা কেউ অন্যায় করি, তার যথাযত ব্যবস্থা নেবে এটা আমি বলতে পারি। বাগুইআটি থানার IC সোমনাথ ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু জানি না। অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে।


আরও পড়ুন: Hilsa Fish: জালে টান, ভেবেছিলেন 'অন্য কিছু', ৩ কেজির রুপোলি ইলিশ ধরা দিল মৎসজীবীর কাছে