কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ভিন্ রাজ্য থেকে বাংলায় পাচার হচ্ছিল মাদক। পুলিশি সক্রিয়তায় হল পর্দাফাঁস। এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ কফ সিরাপ বাংলায় পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ। তবে এর নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে (Phensedyl Syrup)।


প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ কফ সিরাপ বাংলায় পাচার!


ফের আন্তঃরাজ্য নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের পর্দাফাঁস হল বাংলা। উদ্ধার করা হল প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ কফ সিরাপ ফেন্সিডিল। এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সেগুলি পাচার করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। পাচারকারীরা বর্ধমান থানার পালিতপুর রোডের বীরপুরে গাড়ি বদল করছিলেন (Purba Bardhaman News)। 


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই সময়ই পুলিশ  চড়াও হয় সেখানে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকও। তাঁর উপস্থিতিতে বর্ধমান থানার পুলিশ ওই মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। তাতে মোট ৪ হাজার ৪০০ বোতল নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল কফ সিরাপ উদ্ধার হয়েছে।  অভিযুক্তরা ওই কফ সিরাপের কোনও বৈধ কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন: https://bengali.abplive.com/district/wb-sangrami-joutha-mancha-slams-firhad-hakim-for-his-remarks-on-da-protests-960049/amp


ওই বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে লরির দুই চালককে। পূর্ব বর্ধমান জেলার সিএসপি ট্রাফিক-২, রাকেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, গোপনসূত্রে মাদকপাচারের খবর পেয়েছিলেন তাঁরা। সেই অনুযায়ী অভিযান চালান। তাতে একটি লরি থেকে ২২টি বস্তায় ৪৪ কার্টুন ফেন্সিডিল কফ সিরাপের বোতল উদ্ধার হয়। 


সেগুলি নামিয়ে গুনতে শুরু করে পুলিশ। তাতে দেখা যায়, মোট ৪ হাজার ৪০০টি ফেন্সিডিল কফ সিরাপের বোতল রয়েছে। এর পর ওই দুই লরিচালককে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তাঁরা। তাতেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় সমস্ত ফেন্সিডিলেন বোতল। 


গ্রেফতার করা হয়েছে লরির দুই চালককে


ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম বিনোদ যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের বাসিন্দা। অন্য জন, মহারাজ খান, বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। বুধবার তাঁদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, কী উদ্দেশে নিষিদ্ধ মাদক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মুর্শিদাবাদে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশ বা অন্যত্র সেগুলি পাচারের পরিকল্পনা ছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও। বর্ধমানে কেন গাড়ি বদল করা হচ্ছিল, তাও জানতে চায় পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।