রানা দাস, কেতুগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান: কেতুগ্রামে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেতু ভেঙে খালে পড়ে গেল যাত্রিবাহী বাস। সেতুর দেওয়াল ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। 


জখম একাধিক:
সেতু ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রায় ১২ জন দখম বলে সূত্রের খবর। চলন্ত অবস্থায় বাসের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্রের খবর। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে বীরভূমের কীর্ণাহার যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে তা এড়ানো গিয়েছে। এখনও কোনও প্রাণহানির খবর নেই। আহতদের চিকিৎসা চলছে। 


ভেঙে পড়ে আছে কালভার্টের গার্ডওয়াল। কয়েক ফুট দূরে খালে পড়ে বাস। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বাসের সামনের অংশ। ভেঙে গিয়েছে বাসের কাচ। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসের অবস্থা হয়েছে এমনই।


কিন্তু কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? 
এদিন সকাল পৌনে ১১ টা নাগাদ দ্রুত গতিতে কাটোয়া থেকে বীরভূমের কীর্ণাহারের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। কেতুগ্রামের বারান্দায় একটি কালভার্টের কাছে আসতেই হঠাৎই সামনের চাকা ফেটে যায়। এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে কালভার্টের গার্ডওয়ালে। গতি এতোই বেশি ছিল যে, গার্ডওয়াল ভেঙে গুড়িয়ে কয়েক ফুট দূরে খালে গিয়ে পড়ে বাসটি। 


দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও জখম গুরুতর হওয়ায় ২ জনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ঘটনাস্থলে আসে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। ক্রেনের সাহায্যে তোলা হয় বাসটিকে। বাসের চালকের কোনও খোঁজ মেলেনি। 


আরও দুর্ঘটনা:
বৃহস্পতিবার কেতুগ্রামে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর বুধবারই বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ এনআরএস হাসপাতালের সামনে এক মহিলাকে ধাক্কা মারে একটি বেসরকারি বাস। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। ওই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে। এদিকে তার আগের দিনই এনআরএস হাসপাতালের ভিতরেই একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। হাসপাতাল চত্বরে পড়েছিল তেল এবং মোবিল। তাতে মোটর বাইকের চাকা পিছলে পড়ে যান হাসপাতালের এক কর্মী। পিছনে আসা ট্যাক্সি চালকের তৎপরতায় কোনও ক্রমে প্রাণরক্ষা হয় তাঁর। কংক্রিট পাম্পের হাইড্রলিক তেলের ট্যাঙ্ক ফেটে তেল-মোবিল ছড়িয়ে বিপত্তি বাধে। তাতে আতঙ্ক ছড়ায় রোগীর পরিজনদের মধ্যে।   


আরও পড়ুন: ডিএলএড কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়ায় বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ