কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: রাত পোহালেই পুরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ (WB Municipal Polls 2022)। তার আগেও অশান্তি থামছে না। এ বার বর্ধমানে বিজেপি-র (BJP) কার্যালয়ের সামনে বোমা রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ভোটের আগে জোড়াফুল শিবির আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ গেরুয়া নেতৃত্বের। যদিও তাঁদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
বর্ধমান (Purba Bardhaman News) পুরসভার অন্তর্গত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বীরহাটা কোড়াপাড়া এলাকার ঘটনা। সেখানে বিজেপি-র প্রার্থী সুরীরঞ্জন কুমার সাউ। তাঁর নির্বাচনী কার্যালের সামেনই বোমা রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শাসক এবং বিরোধী শিবিরের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন।
বোমা পয়েছে বলে খবর পেয়েই ওই কার্যালয়ে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে এই মুহূর্তে ঘিরে ফেলা হয়েছে ওই কার্যালয় এবং সংলগ্ন এলাকা। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে, যাতে উদ্ধার হওয়া বোমাটিকে নিস্ক্রিয় করা যায়।
এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করাই লক্ষ্য তৃণমূল। শুধু তাই নয়, এলাকায় অশান্তি ছড়াতে দলে দলে বহিরাগতকে ওয়ার্ডে ঢোকানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এই ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কড়া পদক্ষেপের দাবি তোলা হয়েছে।
তৃণমূল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে দল কোনও ভাবেই জড়িত নয়। বিজেপি-র লোকজন নিজেরাই এই সব করে বেড়ায়। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এখন মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: Murshidabad News: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীকে লক্ষ্য করে বোমা, কাঠগডায় কংগ্রেস
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বম্ব ডিসপোসাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসার পরই বোঝা যাবে উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলি আদৌ বোমা কি না।
বর্ধমানে শাসকদল যেখানে অভিযোগের কেন্দ্রে, ওই একই সময় মুর্শিদাবাদে আবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে ধুলিয়ানে মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ধুলিয়ান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মেহবুব আলম। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। মেহবুব জানিয়েছেন, তিনি অল্পের জন্য বেঁচে ফিরেছেন। ঘটনার পরই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখান থেকে ফিরে আসেন বাড়িতে। বাড়িতে তাঁকে দেখতে ভিড় করেন আত্মীয়-পরিজনরা। কংগ্রেস আশ্রিত এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ মেহবুবের।