রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: খোদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি মেলেনি, টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে মিলেছে হুমকি মেলে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কালনা মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভিযোগকারী। অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলে আসছেন না বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ (Purba Bardhaman)। 


টাকা নিয়ে চাকরির নামে প্রতারণা করার অভিযোগ


মুর্শিদাবাদের পর এ বার পূর্ব বর্ধমান। ফের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ।  মুর্শিদাবাদে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে নিজের স্কুলেই ছেলেকে অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। আর পূর্ব বর্ধমানের স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ টাকা নিয়ে চাকরির নামে প্রতারণা করার। 


মনোরঞ্জন পাল নামের মন্তেশ্বরের এক বাসিন্দা দাবি, ২০১৪ সালে তাঁর ছেলে টেট উত্তীর্ণ হন। অভিযোগ, ২০২১ সালে ছেলের চাকরির জন্য নাদনঘাটের রামপুরিয়া হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন ঘোষকে ৯ লক্ষ টাকা দেন তিনি। অভিযোগ, বছর দুয়েক পরেও চাকরি না হওয়ায়, টাকা ফেরত চাইলে একলক্ষ টাকার চেক দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। কিন্তু সেই চেক বাউন্স করে। 


আরও পড়ুন: CV Ananda Bose: পূর্বসূরি ধনকড়কে অনুসরণ! উচ্চশিক্ষায় নজরদারি রাজ্যপালের, আর্থিক লেনদেনে নিতে হবে অনুমোদন


মনোরঞ্জন বলেন, "কলকাতায় শিক্ষা দফতরে বড় আধিকারিকের সঙ্গে চেনাশোনা আছে। চাকরি দিতে পারেননি। বলেছিলেন, প্রতিমাসে ১ লক্ষ করে টাকা দিয়ে শোধ ককে দেবেন। কিন্তু প্রথম চেকই বাউন্স করে। সে কথা ওই শিক্ষককে জানালে অভিযোগকারীকে হুমকি দিতে শুরু করেন।" অভিযোগকারীর দাবি, নাদনঘাট ও মন্তেশ্বর থানা অভিযোগ নিতে টালবাহানা করায় সোমবার কালনা মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। 


এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ধ্রব দাস জানিয়েছেন, নাদনঘাট থানায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তর খোঁজ চলছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেপাত্তা। বাড়িতে গিয়েও তাঁর খোঁজ মেলেনি। স্কুলেও আসছেন না। এ ব্যাপারে অভিযুক্তের আক আত্মীয় বলেন, "এখানে থাকেন না। কোথায় থাকেন জানি না। কী ঘটেছে জানি না।" মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকেই তিনি স্কুলে আসছেন না বলে জানিয়েছেন রামপুরিয়া হাইস্কুলের শিক্ষক স্বপনকুমার দাস। 


বাড়িতে গিয়েও খোঁজ মেলেনি অভিযুক্ত শিক্ষকের


মহকুমার সহকারী স্কুল পরিদর্শক জানিয়েছেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই এনিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। তবে কেন তিনি স্কুলে আসছেন না, এবং তার জন্য পঠনপাঠনের কোনও ক্ষতি হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।