কাটোয়া: বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল হাওড়া-কাটোয়া লোকাল ট্রেন (Howrah-Katwa Local)। কাটোয়ার দাঁইহাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে স্লিপারে ধাক্কা লাগে। চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে কাজের জন্য রাখা ছিল প্রচুর স্লিপার। সেখানেই ধাক্কা মারে লোকাল ট্রেনটি। তা নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে কোনও রকমে। অন্যথায় অনর্থ ঘটে যেতে পারত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে (Purba Bardhaman News)।


মঙ্গলবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। চালকের তৎপরতাতেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি। এদিন হাওড় থেকে কাটোয়ার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। কাটোয়ার আগে দাঁইহাট স্টেশনে সকাল থেকে কাজ চলছিল। চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে জমা ছিল স্লিপার। চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম হয়ে যাওয়ার সময় সেই স্লিপারেই ধাক্কা মারে ট্রেনটি। এতটাই তীব্র ছিল ধাক্কা যে ট্রেনের কামরার ভিতরও স্লিপারও ঢুকে যায় বলে জানা গিয়েছে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামরূপ এক্সপ্রেসকে আগে করার জন্য, হাওড়া-কাটোয়া লোকাল ট্রেনটিকে সিগনাল দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় দাঁইহাট স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে। সেখানেই প্ল্যাটফর্রমের ধার ঘেঁষে পড়েছিল প্রচুর স্লিপার। তাতেই ধাক্কা মারে ট্রেনটি। তাতে ট্রেনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ট্রেনটির প্রথম দু'টি কামরা প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই এই বিপত্তি ঘটে। তড়িঘড়ি ট্রেনটি থামিয়ে দেন চালক। তাতেই যাত্রীরা রক্ষা পেয়েছেন। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল...সুযোগ হয়নি', জরুরি অবতরণের পর সেনার সান্নিধ্যে মমতা, শোনালেন আক্ষেপ


এই ঘটনায় আরও একবার রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্ল্যাটফর্মের উপর স্লিপার জমা করে রাখা ছিল, কেন তা কারও নজরে পড়ল না এবং কোন যুক্তিতে ট্রেনটিকে ঢোকানো হল প্ল্যাটফর্মে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চালক সঠিক সময়ে ট্রেন দাঁড় না করালে আরও বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা করছেন সকলে। স্টেশন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা তাই প্রশ্নের মুখে। 


এদিন দুর্ঘটনার পর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছন রেলের কর্মী-আধিকারিকরা। স্লিপার সরানোর চেষ্টা চলছে। যাত্রীদের অন্য ট্রেনে তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ট্রেনের চালক জানিয়েছেন, প্রচণ্ড শব্দ শুনে বিষয়টি চোখে পড়ে তাঁর। তাতেই ট্রেন থামিয়ে দেন। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্লিপারে হালকা স্পর্শ করেছে ট্রেনটি। কিন্তু গোটা ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে রেল।