কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ভাঙাচোরা রাস্তা। কখনও গাড়ি একদিকে হেলে যাচ্ছে, কখনও আবার লাফিয়ে উঠছে গাড়ি। ভিতরে বসা যাত্রীদের অবস্থা তথৈবচ। যাত্রী যিনি ছিলেন, তিনি সাধারণ নাগরিক নন। তিনি রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী। এমন রাস্তায় গাড়ি চড়া আর হল না খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মাণ্ডির। গাড়ি থেকে নেমে টোটোয় চেপে তিনি গেলেন আত্মীয়ের বাড়ি। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়নার পলাশন পশ্চিম পাড়া এলাকার ঘটনা।


রায়নার পশ্চিমপাড়া এলাকায় যেতে গেলে দুটি রাস্তা রয়েছে। ২টি রাস্তারই (Bad Road Condition) বেশ কিছুটা অংশের বেহাল দশা। দীর্ঘদিন ধরেই এমন পরিস্থিতি থাকলেও বেহালই রয়ে গিয়েছে রাস্তা। আজ সকালে রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মাণ্ডি রায়না পশ্চিমপাড়ায় মাসির বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু বাড়ি ঢোকার আগে থমকে যায় মন্ত্রীর গাড়ি। কারণ বেহাল রাস্তা। প্রায় ২০০ মিটার রাস্তার যা অবস্থা। তাতে গাড়ি থামাতে বাধ্য হন মন্ত্রী। তারপর ভরসা টোটো। টোটো করেই মাসির বাড়ি যান মন্ত্রী। 


রাজ্যের মন্ত্রী টোটো-সওয়ার? কেন? চারপাশে তখন উৎসুক চোখ। টোটোয় চড়ে যাচ্ছেন কেন, জিজ্ঞেস করতেই মন্ত্রী জানালেন, কিছুটা রাস্তার কাজ বাকী রয়েছে। বিষয়টি জেলাপরিষদ ও পঞ্চায়েতে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।


রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ রয়েছে। শীতকালে তবুও একরকম, কিন্তু বৃষ্টি হলেই আরও বেহাল হয়ে যায় রাস্তা। অবস্থা এমনই হয় যে অ্যাম্বুল্যান্স বা চারচাকা গাড়ি গ্রামের রাস্তায় ঢুকতে চায় না। যার ফলে বিপদের মুখে পড়েন তাঁরা। ওই সময় গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে খাটিয়া করে এতটা পথ বয়ে নিয়ে এসে তারপর গাড়িতে তুলতে হয়। বারবার নানারকম প্রতিশ্রুতি মিললেও রাস্তা ঠিক হয়নি বলে অভিযোগ। 


এই পঞ্চায়েত সিপিআইএম (CPIM) পরিচালিত। সেই পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা কোনার জানান, 'আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত ছিল। ওঁরা করেননি। আড়াই বছর পঞ্চায়েতে কাজও হয়নি। আমরা এই ছয় মাস এসেছি। ইতিমধ্যেই দুটি রাস্তার টেন্ডার ও ওয়ার্ক অডার হয়ে গেছে। বৃষ্টির জন্য কাজ শুরু করা যায়নি। রাস্তা শুকনো হলেই কাজ শুরু করা হবে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে আশা করি আর অসুবিধা হবে না।'


আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি জংশন থেকে যাত্রা ইলেকট্রিক লোকো প‍্যাসেঞ্জার ইঞ্জিনের