কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: বর্ধমান রেল ওভারব্রিজ এবং সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আলো নেই। অভিযোগ, বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্য়ানকে জানিয়েও লাভ হয়নি। তাতে তৃণমূলের দখলে থাকা পৌরসভার প্রধানকে হুঁশিয়ারি দিলেন দলেরই কাউন্সিলর। সাত দিনের মধ্যে আলোর ব্য়বস্থা না হলে পৌর প্রধানকে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি (Purba Bardhaman News)।


খারাপ রাস্তার আলো। দীর্ঘদিনে ধরে সারাই হয় না। তার জেরে পৌরসভার চেয়ারম্য়ানকে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর। বর্ধমান রেল ওভারব্রিজ এবং সংলগ্ন এলাকার রাস্তার আলো দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। সন্ধে হলেই অন্ধকারে ডুবে যায় রাস্তা, তার জেরে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। যা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে (Bardhaman TMC)।


বর্ধমান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য়ে পড়ে অঞ্চলটি। স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল আলমের অভিযোগ, পৌর চেয়ারম্য়ান পরেশচন্দ্র সরকারকে লিখিতভাবে জানানো সত্ত্বেও কাজ হয়নি। সোমবার ফের চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর। সাত দিনের মধ্যে আলোর ব্য়বস্থা না হলে পৌর চেয়ারম্য়ানকে ঘেরাও করা হবে।


আরও পড়ুন: Hooghly: 'বার বার আসি আমরা দুজন, বার বার ফিরে যাই...', স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই মৃত্যু স্বামীরও


বর্ধমান পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আলম বলেন, "আমি চিঠি দিয়েছি বার বার, যে মানুষের ক্ষতি হতে পারে। মদের আড্ডা থেকে সবরকম অসামাজিক কাজ হচ্ছে। এত লাইট এত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও লাইটগুলো জ্বলছে না। আমি বলে বলে হয়রান। সাত দিন চেয়ারম্য়ান সাহেবকে আর একটি চিঠি দেব। তাতে যদি উত্তর না পাই চেয়ারম্য়ানকে ঘেরাও করব। উনি পুরসভায় আসতে পারবেন বেরোতে পারবেন না।"


বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকারের বক্তব্য, "আমি জানি না এই বিষয়ে তিনি কী বলেছেন কোথায় বলেছেন। আমাদের সব ওয়ার্ডেই যথা নিয়মে লাইট লাগানো হয়। এর জন্য় আমাদের এজেন্ট আছেন, তাঁরাই করেন। দেখতে হবে, কী কারণে ওঁর ওখানে লাইট লাগেনি। সোমবার অফিস খুলুক দেখব। যে কেউ তো যে কোনও জায়গায় বলছেন আমি এই পারি ওই পারি। আস্ফালনে তো কোনও দোষ নেই। এসব দেখলে তো আর কাজ করা যাবে না।"

এ নিয়ে পৌর চেয়ারম্য়ানকে নিশানা করেছে বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "পৌরসভার নির্বাচনটাই সঠিক ভাবে হয়নি। বোর্ড গঠনটাও ঠিকভাবে হয়নি। তারই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষকে যে পরিষেবা দেওয়া দরকার সেটা দেওয়া হচ্ছে না। তাই তৃণমূল কাউন্সিলর পৌর প্রধানকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। এই অভিযোগ এতদিন বিরোধী হিসেবে আমরা করে আসছিলাম। এখন তৃণমূল কাউন্সিলর একই অভিযোগ করছেন। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না। এখন কী বলবেন সেই উত্তরের অপেক্ষায় আছি।"

বর্ধমান পৌরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডই তৃণমূলের দখলে। পৌর চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে খোদ শাসক দলের কাউন্সিলরের হুঁশিয়ারিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমানে।