কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: নবজোয়ার কর্মসূচিতে ফের ডামাডোল। ভোটদান কর্মসূচি ঘিরে তুঙ্গে উঠল উত্তেজনা। নবজোয়ার যাত্রায় ভোটদান কর্মসূচিতেও উঠল ছাপ্পার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি, নিশানায় বর্তমান ব্লক সভাপতি।


কী অভিযোগ:
কাউকে বুথ সভাপতি সাজিয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। বালি খাদান মালিকদের নেতা সাজিয়েও চলেছে ভোট লুঠ। তৃণমূলে নবজোয়ার যাত্রায় এমনই অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই ঘিরে ফের সামনে এল শাসকদলের কোন্দল। গতকাল জামালপুরে ৮টি ব্লকের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যে গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়। প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অভিযোগ, তাঁর ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত স্তরের নেতা-নেত্রীদের ভোটই দিতে দেননি ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। যদিও গোটা ভোট প্রক্রিয়া দলের নির্দেশে, নিয়ম মেনেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। এই নিয়ে শাসকদলের জেলা নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জামালপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বলেছিলেন, 'দলে অনেক গোষ্ঠী, উপদল থাকতে পারে কারণ দল বড় হয়েছে। কিন্তু বুথ সভাপতিরা যাকে প্রার্থী করবে তাঁকে হারানোর ক্ষমতা কারও নেই।'


বিরোধীদের কটাক্ষ:
বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কটাক্ষ, 'এটা তৃণমূলের হড়পা বান। যেখানেই উনি যাচ্ছেন, সেখানেই তৃণমূলের লড়াই সামনে আসছে। যাদেরকে সিপিএম নির্বাচনের সময় গুন্ডামির কাজে ব্যবহার করত, তাদের তৃণমূল নেতা বানিয়ে দিয়েছে। একটা জায়গাতেও নির্বাচন সঠিকভাবে করতে পারেননি। যাঁকে নিজের পার্টির নির্বাচনে পুলিশ ব্যবহার করতে হয়, তিনি গণনির্বাচন কীভাবে করবেন? এটা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মহড়া। কীভাবে লুট করতে হবে সেটাই মহড়া চলছে। এই নির্বাচনটাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে দিয়ে করুন। দলের কর্মীদের অন্তত প্রাণ বাঁচবে।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'দল বড় হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকবে, এটা বেঠিক কথা। বলতে পারত বখরার ভাগাভাগিতে লড়াই চলছে। কে তৃণমূল কর্মী সেটা ওরা খুঁজে পাচ্ছে না। যারা পাচারকারী তারা তৃণমূল প্রার্থী ঠিক করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।'


এর আগেও একাধিক জায়গায় নবজোয়ার যাত্রায় তুঙ্গে উঠেছিল উত্তেজনা। প্রকাশ্যেই বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বারবার সামনে এসেছে গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি। এবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরেও একই ছবি সামনে এল।

আরও পড়ুন: খুব গরম! এসি ছাড়াই ঠান্ডা থাকবে ঘর, কী করতে হবে?