কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান শহরে দিনে দুপুরে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমন ডাকাতির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেনি বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। স্বভাবতই এই গোটা ঘটনায় এলাকাবাসী ভীতসন্ত্রস্ত। 


ঠিক কী ঘটেছে? 


গ্রাহকদের অভিযোগ, সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কার্জন গেট শাখায় হানা দেয় ডাকাতরা। মাস্কে মুখ ঢেকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে পড়ে। কর্মীদের মারধর করে ব্যাগে টাকা ভরে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অপারেশন। ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।


তবে শুধু 'অফলাইন' ডাকাতি নয়। ডাকাতি হচ্ছে অনলাইনেও। প্রতারিত হচ্ছেন একাধিক গ্রাহক। সম্প্রতি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ওটিপি শেয়ার করে ৫১ হাজার টাকা খোয়ানোর অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার বাসিন্দা অভিযোগকারীর দাবি, গতকাল দুপুরে ক্রেডিট কার্ড সংস্থার তরফে ফোন করে জানানো হয়, ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টে জমা পয়েন্টের ভিত্তিতে তিনি প্রায় ১০ হাজার ১০০ টাকা পাবেন। অভিযোগ, তাতে সাড়া দিতেই কৌশলে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ওটিপি জেনে নেওয়া হয়। এরপর পাঁচ দফায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৫১ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ও বেলুড় থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। 


এদিকে,  করোনাকালে সংক্রমণ বাড়ছে ব্যাঙ্ককর্মীদের মধ্যে। যার জেরে রাজ্যজুড়ে মাঝেমধ্যেই বন্ধ রাখতে হচ্ছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের একাধিক শাখা। তবে কতদিন পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তায় অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক  অফিসার্স কনফেডারেশন। বন্ধ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের শাখা। ঝাঁপ পড়েছে স্বরূপনগরের ইন্ডিয়ান গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখাতেও।অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, শেষ ১০ দিনের হিসেবে সংক্রমণ বেড়ে চলায় প্রতিদিন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১৫ থেকে ২০টি করে শাখা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের ৫০ শতাংশই করোনা সংক্রমিত।